মালয়েশিয়া-দুবাই ফোনে আলাপ থেকে বিয়ে, এখন হাসপাতালে !!
‘মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। আমি আগে জানতাম না রাজিবের বউ ছিল। পরে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে আমার থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে। আমাকে তালাক নেওয়ার জন্য প্রায়ই আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করে, টাকা চায়। অথচ বিয়ের সময় আমি ৮-১০ লাখ টাকা দিয়েছি তাদের। বুধবার (২০ নভেম্বর) আমাকে বাড়ির মধ্যে বেধড়ক মারপিট করে।
আমি নির্যাতন সইতে না পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। পরে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলেও আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। আমি তাদের বিচার চাই,’ হাসপাতালের বেডে শুয়ে এভাবেই নিজের ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন বিলকিস। স্বামী রাজিব, শ্বশুর আনারুল ও শাশুড়ি আশানুর খাতুনের সম্মিলিত মারধরে বিলকিস এখন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
রাজিব থাকতেন মালয়েশিয়া, বিলকিস থাকতেন দুবাই। মোবাইল ফোনে আলাপ। তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় তাদের। রাজিব চলে আসে নিজ এলাকায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ গ্রামে। বাড়ি এসে পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্তে বিলকিসও চলে আসে কাকিলাদহে। ৩-৪ মাস আগে আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয় দুজনের। বিলকিসের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম জানান, বিলকিসকে বুধবার সকালে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।