মা ও ছেলেকে জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলো সিআইডির এএসপি
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা ও ছেলেকে অপহরণ এবং মুক্তিপণের দাবিতে সিআইডির রংপুর অফিসের একজন এএসপিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার বাশেরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হলেও বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান এবং কনস্টেবল আহসানুল হক।
রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার এএসআই এবং কনস্টেবল ২১ আগস্ট থেকে দশ দিনের ছুটিতে ছিলেন। তারা অভিযোগের একটি তদন্ত করতে দিনাজপুরে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা একটি সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে আমার অনুমতি ছাড়া একটি ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করে। গ্রেফতারের পর আমাকে জানানো হয়েছিল। আমি তাদের বলেছিলাম যে তারা আমাদের কর্মী। আমি আর কিছু জানি না। ‘
ভিকটিমের স্বজন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পলাশ নামে এক ব্যক্তি রংপুর সিআইডিতে চিরিরবন্দর থানার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিনজন লুৎফরের বাড়িতে যান। লুৎফরকে খুঁজে না পেয়ে তিনি তার স্ত্রী ও ছেলেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যান এবং মুক্তিপণ দাবি করেন। তারা পরিবারের সদস্যদের ডেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে নিহতের স্বজনরা থানায় যান।
একপর্যায়ে ভিকটিমের স্বজনরা মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তারা প্রথমে রানিরবন্দর আসতে বলে। আসলে, তাদের টাকা দিয়ে দশ মাইল আসতে বলা হয়েছিল। আবার দশ মাইল আসলে বাশেরহাটে আসতে বলে।
পরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ এবং সিআইডি বাশেরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর প্রথমে তাকে চিরিরবন্দরের পর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। জানা গেছে, এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিনজন এখনও দিনাজপুর পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।