মিথিলাকে বিয়ে করছেন, কে এই সৃজিত মুখার্জি? জানুন বিস্তারিত !!
২০১০ সালে প্রথম চলচ্চিত্র অটোগ্রাফ পরিচালনার পরপরই তিনি আলোচনায় আসেন। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়। তার সবগুলো ছবিই সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয় এবং ব্যাপক সাড়া ফেলে। খুব দ্রুতই তিনি আলোচনায় আসেন।
ভারতের ৬১তম জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারে তার পরিচালিত ‘জাতিস্মর’ ছবিটি চারটি পুরস্কার জিতে নেয়। ৬২তম জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তার পরিচালিত চতুষ্কোণ সিনেমাটির জন্য তিনি সেরা পরিচালক এবং সেরা চিত্রনাট্য বিভাগে পুরস্কার জিতে নেন।
সৃজিতের পরিচালিত রাজকাহিনি চলচ্চিত্রটি হিন্দিতে বেগম জান শিরোনামে পুনঃনির্মিত হয়েছে যার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান। তার নির্মাণাধীন চলচ্চিত্র কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় তার শৈশব জীবন শেষ করেন দোলনা ডে হাই স্কুল এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে। তারপরে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.ফিল এবং পিএইচডি শেষ করেন। তার বাবা সমরেশ মুখোপাধ্যায় একজন স্থাপত্যবিদ্যার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, শিক্ষক, চিত্রশিল্পী। তার মা এনাটমি বিভাগের একজন শিক্ষক।
অঞ্জন দত্তও সৃজিতকে নিয়ে ঞ্জেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। এর জবাবে সৃজিত বলেছিলেন, এমন লোক ইন্ডাস্ট্রিতে কমই আছেন, যাঁর সম্পর্কে অঞ্জনদা কটু কথা বলেননি। আমি এটা সিরিয়াসলি নিই না। বলতে পারেন, কোনওটাই নিই না। যখন উনি বলেন, ‘আমি সৃজিতকে ক্রিয়েটিভ দিক থেকে ইর্ষা করি’, তখনও না। আমি অঞ্জনদাকে অ্যাসিস্ট করেছি, কিছু-কিছু জায়গায় খুব মান্য করি, ব্যস। মোদ্দা কথাটা কী জানেন, আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। কারণ, আমি এখানে ছবি তৈরি করতে এসেছি। আর একটা কথা বিশ্বাস করি, একদিন সকলে মারা গেলে, এই রাগ, অভিমান কিছুই থাকবে না। থাকবে শুধু আমাদের ছবির ডিভিডিগুলো। দেখেছি, এই কথাটা বললে, সকলে ভীষণ উদ্বুদ্ধ হন। সুমনদা তো প্রথমে ‘জাতিস্মর’-এর মিউজক করতে হবে শুনে, না-ই বলে দিয়েছিলেন! কিন্তু যখন বললাম, “ছবিটাতে তোমাকে দরকার, এই সময়ের তোমাকে দরকার,” তখন রাজি হয়ে গেলেন!
সৃজিত মুখোপাধ্যায় অর্থনীতিবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে কাজ করার সময় দিল্লিতে ইংরেজি সার্কিট থিয়েটারের সাথে বেশ ভালোভাবে যুক্ত হন। তারপরে ২০১০ সালে তিনি প্রথম চলচ্চিত্র অটোগ্রাফ তৈরি করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর ধারাবাহিকতায় তিনি ২০১১ সালে বাইশে শ্রাবণ, ২০১২ সালে হেমলক সোসাইটি’, ২০১৩ সালে মিশর রহস্য, ২০১৪ সালে জাতিস্মর ও চতুষ্কোণ ২০১৫ সালে নির্বাক এবং রাজকাহিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। সৃজিতের সঙ্গে বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রেমের খবরও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করছেন বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী মিথিলাকে।