মেলাদিন হইলো এক কেজি পেঁয়াজ মাপি না !!
বিদেশ থেকে আমদানি করেও মিটছেনা পেঁয়াজের সঙ্কট। গত কয়েক মাস ধরে চলমান এই সংকটে পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। সারাদেশের মত রাজধানী ঢাকার বাজারও তুলনামুলক বেশি চড়া। মধ্য ও নিম্নবিত্ত অধ্যুষিত এলাকার দোকানিরা তাই আক্ষেপ করে বললেন ‘এক কেজি পেঁয়াজ মাপি না মেলাদিন হইলো’।
ঢাকার বিভিন্ন খুচরা দোকানে খোঁজ নিয়ে মিলেছে এমন চিত্র। রাজধানীর কড়াইল বস্তি এলাকা, মিরপুরের খুচরা বাজার, কুড়িলের কুড়াতলী ও ধানমণ্ডির রায়েরবাজার এলাকার অবস্থা নাগালের বাইরে। পেঁয়াজের সাথে সাথে মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যান্য পণ্যেরও। নিম্নবিত্তরা ছেড়ে দিয়েছে পেঁয়াজের আশা আর মধ্যবিত্তরা হিমশিম অবস্থায়। এ সমস্ত এলাকায় দোকানীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় খুব অল্প সংখ্যাক মানুষ ১ কেজি পেঁয়াজ কিনছেন। কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে এক দোকানি জানালেন তিনি এক কেজি পেঁয়াজ মাপেন না অনেকদিন হল। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে ফের বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন জানান, আগে অনেকেই একসঙ্গে ৫ কেজি পেঁয়াজও কিনতেন কিন্তু দাম বাড়ার পর এক কেজি পেঁয়াজও কিনতে পারছেন না। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এখন আধা কেজি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১১৫ টাকায়। প্রশাসনের মনিটরিংয়ের অভাবে এমন ভোগান্তি হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে আজ কয়েকদিন ধরে আধা কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি হয়। এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রির কাস্টমার খুব কম। এতে আমাদের পেঁয়াজ কোনো কোনো দিন পচে যায়। এদিকে পচে যাওয়ার ভয় ও চড়া দামের প্রভাবে কোনো দোকানে ১০ থেকে ২০ কেজির বেশি পেঁয়াজ রাখা হয়না। আবার ছোট ছোট কয়েকটি পেঁয়াজের দোকান ঘুরে দেখা যায়, তাদের দোকানেও চার থেকে থেকে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ রাখা হয়না।