যেভাবে কুকুরের মুখ থেকে শিশুকে রক্ষা করলেন পুলিশ !!
পাঁচটি ‘আগ্রাসী’ কুকুরের মুখ থেকে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুকে বাঁচিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ওই শিশুটিকে জন্ম দেন। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের দেওয়ান হাট রেললাইনের পাশে এমন মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটেছে।
উদ্ধারকারী পুলিশের এসআই আলাউদ্দিন কুকুরদের মুখ থেকে উদ্ধার করা শিশু ও তার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই প্রসূতি নারীকে রক্ত্ দিয়ে সুস্থ করেছেন আরেক পুলিশ সদস্য।
এসআই আলাউদ্দিন জানান, দেওয়ানহাট রেলওয়ে ডকের পাশে একটি শিশু পড়েছিল। আর তার পাশে বেশ কয়েকটি আগ্রাসী কুকুর খাবার ভেবে ঘুরছিল। সুযোগ পেলেই হয়তো শিশুটিকে খেয়ে ফেলতো। এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কুকুরদের তাড়িয়ে দেন তিনি। ওই সময় শিশুটির শরীরের প্রচুর রক্ত লেগে থাকতে দেখেন।
এছাড়া শিশুটির পাশে এক নারীকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে দেখে পুলিশ কর্মকর্তার মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে। পরে রক্তাক্ত নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। তবে শিশুটিকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, ভোরের শিশুটির জন্ম হয়েছে। শীতের কারণে তার বুকে ঠাণ্ডা লেগেছে। তাই আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রচুর রক্তক্ষরণের শিকার প্রসূতির শরীর দুর্বল থাকায় এএসআই মেহেদি তাকে রক্ত দেন। এছাড়া ওষুধ-ইনজেকশনসহ সব খবচ দিচ্ছে ডবলমুরিং থানা।
ডবলমুরিং থানার ওসি (তদন্ত) মো. জহির হোসেন জানান, শিশুটি সুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে অভিভাবকের ব্যবস্থা করা হবে। সেই পর্যন্ত পুলিশ সহযোগিতা করে যাবে।উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে সোনালী ব্যাংকের সামনে আরেক শিশুকে উদ্ধার করেন থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।