যেভাবে ফেঁসে যান ব্যারিস্টার তুরিন, গোপন তথ্য ফাঁ’স !!
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার ওয়াহিদুল হকের মোবাইল ফোনে থাকা দুই অডিও রেকর্ডের কারণে ফেঁসে যান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে সদ্য অপসারিত ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। রাজধানীর গুলশান থেকে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ওয়াহিদুল হককে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ।
এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করে পুলিশ। পরে সেটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দুটি অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়। ওই অডিওতে তার সঙ্গে ব্যারিস্টার তুরিনের যোগাযোগের তথ্য ছিল।
গুলাশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অডিও রেকর্ড দুটি কপি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেন। পরে সংস্থা তা ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরকে দিলে তুরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়।
ওই দুটি অডিওর মধ্যে একটি টেলিফোন কথোপকথনের রেকর্ড। এটি চার মিনিটের মতো। অন্য অডিওটি ওই গোপন বৈঠকের, প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার মতো।
এদিকে জানা গেছে, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগে তদন্ত হচ্ছিল। তা হলো- আসামি ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে গোপন বৈঠক, মামলার নথি তার কাছে হস্তান্তর ও মামলার মেরিট নিয়ে কথা বলা।
অভিযোগের প্রমাণ ও অডিও রেকর্ড আইন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তুরিন আফরোজকে ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আসামি ওয়াহিদুল হকের মামলার প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এবং তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান। গত বছর তদন্ত শুরু হওয়ার পর ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর তুরিন আফরোজকে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে তদন্ত সংস্থার সিনিয়র সমন্বয়ক সানাউল হক বলেছিলেন, তাদের টেলিফোনে কথা হয় গত বছরের ১৮ নভেম্বর। আর পর দিন ঢাকার অলিভ গার্ডেন নামে একটি রেস্তোরাঁর গোপন কক্ষে বৈঠকটি হয়। সেখানে তুরিন আফরোজ, তার সহকারী ফারাবি, আসামি ওয়াহিদুল হকসহ মোট পাঁচজন ছিলেন।
এ সময় সানাউল হক জানান, টেলিফোন রেকর্ডে তুরিন আফরোজ জানিয়েছেন যে তিনি বোরকা পরে ওই হোটেলে যাবেন। তার সঙ্গে থাকবে সহকারী ফারাবি, যাকে তিনি নিজের স্বামী পরিচয়ে সেখানে নিয়ে যাবেন।
সূত্রঃ বিডি২৪রিপোর্ট