যেভাবে বাথরুমের পাইপ দিয়ে ছড়াচ্ছে করো’না’ভা’ইরাস !!
হংকংয়ে বাথরুমের পাইপের মাধ্যমে ক’রো’না’ভা’ই’রা’স ছড়িয়ে পড়ার আ’শ’ঙ্কায় আবাসিক ভবন খালি করা হচ্ছে।দেশটির সিং ই এলাকার হং মেই হাউস নামে একটি ভবনটির দু’জন বাসিন্দার শরীরে ক’রো’না’ভা’ই’রা’স পাওয়ার পর এ নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনএনের।
ক’রো’না’ভা’ই’রা’স ম’হা’মা’রী’তে প্রতিদিনই বাড়ছে আ’ক্রা’ন্ত ও মৃ’তে’র সংখ্যা। অত্যন্ত সং’ক্রা’ম’ক হওয়ায় মানুষ থেকে মানুষে সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে প্রা’ণ’ঘা’তী এই ভা’ই’রা’স।ধারণা করা হচ্ছে, আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশি বা নিঃশ্বাস থেকে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে ক’রো’না’ভা’ই’রা’স। সেভাবে টয়লেটের পাইপের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে হংকংয়ের খ্যাতিমান চিকিৎসক প্রফেসর কে ওয়াই ইউয়েন বলেন, মল অপসারণের পাইপলাইন এয়ার পাইপের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এটা খুবই সম্ভব যে, মলের সঙ্গে থাকা ভাইরাস টয়লেটের ফ্যানের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে।
এ কারণে অতিরিক্ত স’ত’র্ক’তাস্বরূপ ভবনটির কিছু অংশ খালি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা জায়গাটি পরীক্ষা করছেন।তিনি জানান, ভাইরাস সং’ক্র’ম’ণে’র রাস্তা কোনটি তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ কারণে ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া অব্যাহত রয়েছে।
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে এখন পর্যন্ত ৪২ জনের শরীরে ক’রো’না’ভাই’রা’স ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ১২তম ও ৪২তম রোগী হং মেই হাউসের বাসিন্দা।চীনে এখন পর্যন্ত ক’রো’না’ভা’ইরা’সে এক হাজারেরও বেশি মানুষ প্রা’ণ হা’রি’য়েছেন। সোমবার একদিনে আরও শতাধিক মা’রা যাওয়ায় দেশটিতে মোট মৃ’তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬ জন।গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃ’ত্যু’র নতুন রেকর্ড।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত দেশটির মূল ভূখণ্ডে অন্তত ২ হাজার ৪৭৮ জন নতুন করে ক’রো’না’ভা’ই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন, এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই রয়েছেন ২ হাজার ৯৭ জন। ফলে দেশটিতে মোট আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৬৩৮ জন।
আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসকে ছাড়িয়ে গেছে ক’রো’না’ভা’ই’রাস।২০০২-০৩ সালে আট মাসের মধ্যে ২৫টি দেশে সার্স ভা’ই’রা’সে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন।
চীনের উহান থেকে ছড়ানো ক’রো’না’ভা’ই’রা’স ইতিমধ্যে অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চীন ছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে দু’জন এই ভা’ই’রা’সে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেছেন।