যেসব কারণে করোনাভা’ইরাসে বেশি মৃ’ত্যু হচ্ছে !!
এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভা’ইরাসে যে পরিমাণ মৃ’ত্যুর ঘটনা ঘটেছে, গবেষণায় দেখা গেছে তার শতকরা ৮০ ভাগ সংঘটিত হয়েছে দূষণমুক্ত শহরের অধিবাসীদের মধ্যে।বাতাসের নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2) ধীরে ধীরে আমাদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা হ্রাস করে। ফুসফুসের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
করোনাভা’ইরাসে মৃ’ত্যু নিয়ে নানা গবেষণা করা হচ্ছে। কোথাও এর আ’ক্রমণে মানুষের মৃ’ত্যু হচ্ছে বেশি আবার কোথাও কম। কেনো এমন হচ্ছে এ নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা। বেরিয়ে আসছে নিত্যনতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
করোনাভা’ইরাসের বেশি মৃ’ত্যুর কারণ
করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হচ্ছে কম বেশ সবাই। তবে মৃ’ত্যু বেশি হচ্ছে একটা বিশেষ শ্রেণির।বয়স, ইমিউনোলজিক্যাল স্ট্যাটাস, কো-মরবিডিটি (হাইপ্রেশার, ডায়বেটিস), জেনেটিক্স, লাইফস্টাইল, পরিবেশ দূষণ, প্রতিরোধী সচেতনতা ইত্যাদি নানান বিষয়ের সংশ্লিষ্টতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এককভাবে কোন বিষয় দায়ী নয়।
বায়ুদূষণ ও করোনা’ভা’ইরাস
স্যাটেলাইটপ্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ইউরোপের ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির যে কয়টি শহরের বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এর মাত্রা ছিলো সর্বোচ্চ দেখা গিয়েছে সে কয়টি শহরে করোনাভা’ইরাস এ মৃতের সংখ্যা ছিলো সবচেয়ে বেশি।
এসব দেশের ৬৬টি প্রশাসনিক শহরের মৃ’ত্যুর পরিসংখ্যান পরীক্ষা করে দেখা যায়, শতকরা ৭৮ ভাগ মৃ’ত্যু হয়েছে ঐসব প্রশাসনিক শহরে যেখানে বায়ুদূষণ ছিল সর্বোচ্চ। একই বিষয় দেখা গিয়েছে চীনের হুবেই প্রভিন্সে যেখানের বায়ুদূষণ অন্যান্য প্রভিন্সিয়াল এরিয়া থেকে অনেক বেশি।
সাধারণত ডিজেল চালিত যানবাহনের ধোঁয়ায় প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড থাকে, যা বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে। আর বাতাসের এই নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আমাদের ফুসফুসকে অগোচরে দূর্বল করে ফেলে। নষ্ট করে এর নিজস্ব প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।