যে কথা হলো বাইডেন-পুতিনের প্রথম ফোনালাপে !!
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ওই ফোনালাপ হয় বলে হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক বড় ধরনের সাইবার হা’মলার ঘটনা থেকে শুরু করে রুশ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির বিষয় নিয়েও পুতিনের সঙ্গে আলাপ করেন বাইডেন।
বিবিসি জানায়, রাশিয়ায় বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং চলমান যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেন পুতিন ও বাইডেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের অটল মূর্তি ভেঙে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সৌহার্দ্য রাখতেন বলে অভিযোগ ছিল। কিন্ত এর আগে বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে পূর্ব ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রেমলিনের ক্রিমিয়া দখল ও সিরিয়ায় শক্তি-সামর্থ্য বৃদ্ধি ঠেকাতে না পারায় ওবামার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগও তোলা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের কোনো ক্ষতি হলে তা প্রতিরোধে শক্ত ভূমিকা নেবেন বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এদিন ক্রেমলিনও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তবে তাতে হোয়াইট হাউসের বলা কোনো প্রসঙ্গই উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকতার পথে হাঁটলে গোটা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে এবং উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে।
সামনের মাসে শেষ হতে যাওয়া ওবামার আমলের যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া পরমাণু অস্ত্রচুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়েও কথা বলেন পুতিন ও বাইডেন। এই চুক্তিতে দেশের পরমাণু অস্ত্র কী পরিমাণ থাকবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জানিয়েছে, সামনে এগিয়ে যেতে যোগাযোগ করে চলতে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা।
২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে অভিষেকের পর প্রথম কোনও বিশ্বনেতা হিসেবে ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফোন করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। পরদিন শনিবার দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে। এরপর কথা বলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্র্যোঁ-র সঙ্গে। এর আগে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস লোপেজ বাইডেনকে ফোন করেন। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।