যে কারণে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ !!
করোনার ভ’য়াবহতা থেকে মানুষের জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা দেশ এখন লড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামরিক বেসামরিক বাহিনী,প্রশাসন, চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরাকাজ করছেন।জনগণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সঙ্গ নিরোধে থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে না যাবার নির্দেশ বহাল আছে।
জমায়েত একদম নিষিদ্ধ। তবু অনেক জায়গায় মানুষ তা লঙ্ঘন করছে। বিশেষ করে গত দুদিনে বেশি অযথা বাহিরমুখী, জটলা পাকিয়ে নানাস্থানে আড্ডাবাজি শুরু হয়েছে। এতে করোনার ভা’ইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
একজন জীবানু বহন করলেই যার কাছে,যাবে, যেদিকে যাবে সবাইকেই সংক্রমিত করে যাবে।করোক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে সমাজ জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহনীকেও মাঠ প্রশাসনকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে মাঠে নামানো হয়েছে। সেনাবাহনী সহ পুলিশ প্রশাসন চেষ্টা করেছে বুঝিয়ে শুনিয়ে মানুষকে ঘরে রাখতে। এর মধ্যে একটিমহল করোনার ভ’য়াবহতা চিন্তা না করে পুলিশের বিরুদ্ধে অতীতের বিভিন্ন নাশকতা দমনসহ নানা ছবি দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে।
বিভিন্ন দেশে যেখানে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে অ্যাকশনে গেছে সেখানে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী ও পুলিশ শিথিল মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্তু সরকার জনগনের সচেতনতা নিশ্চিত ও সরকারি নির্দেশ মানতে এখন বৃহষ্পতিবার থেকে সেনাবাহিনী -পুলিশকে হার্ডলাইনে যাবার নির্দেশ দিয়েছে।
করোনার ভ’য়াবহতারোধে তাই আজ সেনাবাহিনী ও পুলিশ যারাই সরকারি নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধেই হার্ডলাইনে যাবে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র একথা জানিয়ে বলেছে, দরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাদ্য সাহায্য পৌছানোও অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক পরিস্থিতি সরসরি মনিটর করছেন।
সূত্রঃ বিডি২৪রিপোর্ট