যে কারণে ভারতের এই রাজ্যে করোনা আ’ক্রান্তের সংখ্যা শূন্য !!
করোনাভা’ইরাসে ছেয়ে গেছে গোটা ভারত। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কেরালা, রাজস্থানসহ ১৭ রাজ্যে আ’ক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে।শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বলে তথ্য দিয়েছে করোনায় প্রা’ণহানি ও অসুস্থদের হিসাব রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার।
কিন্তু এই সাড়ে ১৩ হাজারের মধ্যে একজন বাসিন্দাও নেই সিকিমের। অস্বাভাবিকভাবেই সিকিমে এখনও করোনা আ’ক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। পর্যটন এলাকা সিকিমের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেনি করোনাভা’ইরাস।এর কারণ জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সেই কারণগুলো জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজ।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং জানিয়েছিলেন, ভারতে করোনার থাবা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে সিকিম প্রশাসন। ১৬ মার্চ বিদেশি ও দেশি পর্যটকদের সিকিমে ঢোকার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সিকিমের সঙ্গে অন্য রাজ্যের সীমান্ত সিল করে দিয়েছিলেন। প্রবেশ একেবার নিষিদ্ধ করা হয়। আর যেসব পর্যটক রাজ্যে আটকা পড়ে, তাদের কোয়ারেন্টিনে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়।
এতেই শেষ নয়, করোনাকে ঠেকাতে সিকিমের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল সিকিম প্রশাসন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বাইরে না বেরোনোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রেম সিং। পুরো সিকিমকে লকডাউন করেছিলেন।শুরুতেই এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সিকিমে করোনা ঢুকতে পারেনি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও একটু ভিন্নমত দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যবিদ প্রদীপ ভৌমিক।তিনি বলেন, এটা ম্যাজিকের মতো শোনালেও সিকিমের আয়তন, কম ঘনবসতি– সব কিছুই এ রাজ্যকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করেছে।প্রসঙ্গত সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং বিশ্বের প্রথম অরগানিক রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল। দেশটির ৮ শতাংশ ভৌগোলিক পরিধি নিয়ে সিকিমের অবস্থান। মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ মানুষ বসবাস করেন এই সিকিমে।