যে জী’বাণুনাশক ব্যবহারে করোনামুক্ত থাকা যাবে ৯০ দিন !!
নোভেল করোনাভা’ইরাসের (কোভিড-১৯) সং’ক্রমণ এডাতে বিশেষ ধরনের জী’বাণুনাশকের (অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল কোটিং) সন্ধান দিয়েছেন যুক্তরাষ্টের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এই জী’বাণুনাশক কোনো কিছুর ওপর একবার প্রয়োগ করা হলে ৯০ দিন পর্যন্ত করোনামুক্ত থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যের গলফ নিউজের প্রতিবেদন এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশেষ ওই জী’বাণুনাশকের ব্যবহারে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ৯০ শতাংশ করোনাভা’ইরাস ধ্বং’স হবে। আর দু’ঘণ্টার মধ্যে করোনার ৯৯.৯৯ ভাগ জী’বাণু খুঁজে পাওয়া যাবে না।অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানী ও গবেষণাটির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক চার্লস গের্বা বলেছেন, এই আবিষ্কারে নতুন করোনার প্রতিরোধে এক ধাপ অগ্রগতি হলো।
মানুষকে সং’ক্রমিত করে এমন আরেক ধরনের করোনাভা’ই’রাস ২২৯ই-এর ওপর জীবাণুনাশকটির পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। নতুন করোনাভা’ইরাসের সঙ্গে ২২৯ই করোনাভা’ইরাসের গঠন প্রকৃতি ও জিনগত মিল রয়েছে। ২২৯ই করোনাভা’ইরাসের কারণে মানুষ সামান্য সর্দি-জ্বরে আ’ক্রান্ত হয়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, কোনো বস্তুর ওপর বর্ণহীন জী’বাণুনাশকটি একবার প্রয়োগের পর তিন থেকে চার মাস তার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেনি করোনাভা’ইরাসের জী’বাণু।এটি কোনো রকেট সায়েন্স নয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এক দশক ধরে জী’বাণুনাশকের এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় হাসপাতাল জী’বাণুমুক্ত রাখতে এর ব্যবহার হয়েছে।
চার্লস বলেন, সাধারণ মানুষের অনেক বেশি চলাচল রয়েছে এমন জায়গায় এই জী’বাণুনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। গণপরিবহন বা ট্রেন আপনি একবার সাধারণ উপায়ে জীবাণুনাশক করলেন। কিন্তু পরক্ষণেই সেখানেই আরও লোক উঠবে এবং সংক্রমণের আ’শঙ্কা তৈরি হবে। সে ক্ষেত্রে নতুন জী’বাণুনাশক পদ্ধতি ব্যবহার ভালো ফল দেবে।
লকডাউনের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যখন খুলে দেয়া হবে তার আগে শ্রেণিকক্ষে এ জী’বাণুনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক চার্লস। উৎস: সময়নিউজ।