রবিবার ঈদ পালন করবে চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ !!
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রবিবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।
সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রতি বছরের মতো এবারো দেশের অন্যান্য অঞ্চলের একদিন আগে ঈদুল ফিতর পালন করবেন।রবিবার মির্জাখীল দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন দরবার শরীফের পীরজাদা মওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান।
তবে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফে এসে ঈদের জামাতে অংশ নিলেও এবার নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে দরবার কর্তৃপক্ষ।দরবার শরীফের পীরজাদা মওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান বলেন, প্রায় ২৫০ বছর ধরে সৌদি আরবের সময় অনুসরণ করে আমরা ঈদ, রোজা, কুরবানি পালন করছি। সে অনুযায়ী আমরা রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করব।
ওইদিন সকাল ১০টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। করোনার কারণে এবার দরবার শরীফে বড় ঈদ জামাতের আয়োজন হচ্ছে না। নিজ নিজ এলাকায় ছোট পরিসরে ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সাতকানিয়া মির্জাখীল ছাড়া চন্দনাইশের পশ্চিম এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, খুনিয়ারপাড়া, হাশিমপুর, কেশুয়া, সাতবাড়িয়া, মোহাম্মদপুর, হারালা, চন্দনাইশ পৌরসভার বুলারতালুক, হরিণারপাড়া, ফকির, সর্বল, কাজীবাড়ী, বাঁশখালীর জলদি, কালিপুর, গুনাগড়ি, গণ্ডামারার মিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, আধুনগর, মইশামুড়া, খোয়ছপাড়ায় ওই দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে।