রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার: সেনাপ্রধান !!
নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকার দ্রুত ফেরত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধানের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আজিজ আহমেদ বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরতের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সীমান্তে ড্রোন উড়ানো ও স্থল মাইন স্থাপন না করতেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে। সম্প্রতি এ সফর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্কে আরো উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান।
উল্লেখ্য, বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সময় সাপেক্ষে বিষয়গুলো কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দেয় উভয়পক্ষ।
আলোচনার প্রথমেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গারা কেন মিয়ানমারে ফেরত যেতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে- তা তুলে ধরা হয়। এই লক্ষ্যে মিয়ানমার কর্তৃক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আশিয়ান হিউম্যানিটারিয়ান ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিকে খুব শীগগিরই সেটেলমেন্ট এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ কর্তৃক বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পরিকল্পিত বর্ডার রোড নির্মাণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি সর্বাত্মক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেয়। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থল মাইন এবং আইইডি (IED)-এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়।
বাংলাদেশের আকাশ সীমায় মিয়ানমার সামরিক হেলিকপ্টার এবং ড্রোন অনুপ্রবেশের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপেও তাদের ড্রোন পাঠানোর বিষয় তুলে ধরে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হলে এ বিষয়ে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানায়।
সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক কারখানার উপস্থিতি এবং সেই মাদক প্রবেশে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল বুঝাবুঝি নিরসনে কাজ করতে সম্মত হয়।মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেবল কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনের জন্য সীমান্ত এলাকায় তাদের সৈন্য সমাবেশ ঘটায় বলে জানায়। তারা কখনো দুই দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে।