দেশের খবর

লকডাউনে ৯৬ শতাংশ শিশুর জন্ম নরমালে, শিক্ষা নিতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন !!

দেশে যখন লকডাউন ছিল না তখন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিশু জন্ম হতো সিজারে। আর ক্লিনিকগুলোতে ৯৫ শতাংশ ইনকাম ছিল সিজার থেকে। করোনার মধ্যে বাংলাদেশে সিজারের সংখ্যা কমে গেছে।কিন্তু প্রসূতি মায়ের মৃ’ত্যুর হার বাড়েনি। এ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তিনি বলেন, বিদেশে চার শতাংশ শিশুর জন্ম হয় সিজারে। আর বাংলাদেশে সিজারে জন্ম হয় ৯৬ শতাংশ শিশু। নরমাল ডেলিভারি হয় চার শতাংশ। অথচ লকডাউনে ৯৬ শতাংশ শিশুর জন্ম হয়েছে নরমাল ডেলিভারিতে।

শুক্রবার (৮মে) ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভের শুরুতে ফেসবুকে অসমর্থিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, করোনার সময় লকডাউনে দেশে এক লাখ ৭৫ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র চার শতাংশ শিশুর জন্ম সিজার অপারেশন হয়েছে। আর বাদ বাকি ৯৬ শতাংশ শিশুর জন্ম হয়েছে নরমালে।

তিনি আরও বলেন, যখন লকডাউন ছিল না তখন ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিশুর জন্ম হতো সিজারে। প্রসূতি নারীকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার এমনভাবে বোঝাতেন সিজার না করলে বাচ্চা বা মাকে বাঁ’চানো সম্ভব না। করোনাভা’ইরাস আমাদেরকে কতকিছু শেখাচ্ছে?

প্রসূতির অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলাম ব্যারিস্টার সুমন। এ প্রসঙ্গকে টেনে তিনি বলেন, তখন হাইকোর্ট একটি রুল দিয়েছিল অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে সরকার কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। এখন আমি জানি না সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু দেখুন, প্রকৃতি এমন ব্যবস্থা নিয়েছে যে ক্লিনিকগুলো খোলাই রাখা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ক্লিনিকগুলোতে ডেকে নিয়ে যেভাবে ব্যবসা করত এখন সেগুলো বন্ধ রয়েছে। এখন আর ব্যবসা করার সুযোগ নাই। দেশে শিশুর জন্ম কিন্তু বন্ধ থাকছে না লকডাউনে। নির্দিষ্ট তারিখে শিশু জন্ম হচ্ছে। সিজার না হওয়ার একমাত্র কারণ এখন ক্লিনিকগুলো বন্ধ। আপনারা জানেন কি-না আমি তখন (রিট আবেদনে) বলেছিলাম যে, ক্লিনিকগুলোর ৯৫ শতাংশ ইনকাম হয় এই অপ্রয়োজনীয় সিজার থেকে।

‘ক্লিনিকগুলো বন্ধ থাকার কারণে এবং আজকের দুঃসময় আসার কারণে আপনারা কী দেখলেন? স্বার্থপরতা দেখলেন। ক্লিনিক বন্ধ থাকার কারণে অপ্রয়োজনীয় সিজারও বন্ধ হয়ে গেছে। আমি জানি না, কোভিড নাইনটিন পরবর্তীতে আমরা বাঁচব কি না। তবে যারা বাঁচবে তাদের জন্যেই এই ভিডিও বার্তাটি রেখে যেতে চাই’-যোগ করেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সিজার বন্ধ হওয়ার কারণে যে প্রসূতি মায়ের মৃ’ত্যুর হার বেড়ে গেছে তাও কিন্তু না। এর মানে হচ্ছে প্রোপার রেস্ট নিলে বাড়ি ঘরে থাকলে আমাদের মা বোনদের নরমাল ডেলিভারি সম্ভব।

‘আপনারা এমন একটা বাস্তবতা দেখবেন যে ডাক্তাররা একটা কমন কথা বলেই, আমার বাচ্চার জন্মের সময় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর একই কথা শুনেছিলাম ডাক্তারের কাছ থেকে। তারা বলেন, গর্ভের শিশু শুকনাতে পড়ে গেছে পানি ভেঙে গেছে। এই দু-একটা কথা বললেই যারা নতুন বাবা হন তাদের মাথা ঠিক থাকে না, তাদের হুশ নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থায় বলেন, যা ইচ্ছা করেন কিন্তু তো আমার বাচ্চাটাকে বাঁ’চিয়ে রাখেন।’

তিনি বলেন, এই সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু গাইনি ডাক্তার, সুস্থ প্রসূতির সিজার করতেও দ্বিধাবোধ করেন না। আমি এই ভিডিওটা রেখে যাচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আপনারা এটা থেকে যদি কিছু শিক্ষা দিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চার শতাংশ সিজার প্রয়োজন হয়, বাকি ৯৬ শতাংশ সিজার প্রয়োজন পড়ে না। বিদেশে আত্মীয়-স্বজনের কাছে শুনবেন না কখনও প্রসূতির সিজারের প্রয়োজন হয়।

‘প্রকৃতির বিচারেই আমরা এখন কিছুটা মানুষ হতে শিখছি। করোনাভা’ইরাস হয়তো থাকবে না, আমরাই মানুষ হওয়াটা যেন জারি রাখি। আপনারা ভবিষ্যতে যারা বাবা এবং মা হবেন তাদেরকে আহ্বান জানিয়ে বলছি, আপনারা এসব অনৈতিক সিজার থেকে দূরে থাকবেন। এই ক্লিনিকগুলো থেকে দূরে থাকবেন। সাথে সাথে সরকারকেও বলছি, এটা (করোনাকালীন সময়) থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেন, করোনা-পরবর্তী বাংলাদেশে যেন সিজারে কম শিশু জন্ম নেয়।’

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button