লিবিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা কেমন আছে ??
করোনা ভা’ইরাসের সংক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় দেশ লিবিয়া। দেশটিতে ১ মাসে আ’ক্রান্তের সংখ্যা মোট ৪৮ জন। প্রায় ১ মাসের লক ডাউনে স্থবিরতা বিরাজ করছে পুরো লিবিয়াজুড়ে।এদিকে লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে স্বস্তির খবর নেই। তাদের হতাশায় এবং বিমর্ষ দিন কাটছে যদিও কোনো বাংলাদেশী এখন পর্যন্ত আ’ক্রান্ত হয়নি। প্রায় ১ মাসের লক ডাউনে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
অধিকাংশ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং তাদের জমানো অর্থও শেষ হয়ে গেছে অনেকের। কিছু কিছু মালিক খাবার সরবরাহ করে থাকলেও প্রায় ৮০% প্রবাসী নিজেরাই নিজেদের খাবার খরচ বহন করছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং অর্থ না থাকায় খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের। যথা সময়ে বেতন না পাওয়ায় দেশে তাদের পরিবার পরিজনও কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে।
লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই দুঃসময়ে লিবিয়া সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা পাচ্ছে না। কোন দাতা সংস্থাও তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে না। লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ এম্বাসী থেকে খাবার সহযোগিতার কথা হলেও এম্বাসীতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করতে হচ্ছে প্রবাসীদের। যদিও এম্বাসী থেকে বলা হয়েছে সহযোগিতার জন্য অনলাইনে আবেদন করলে বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে খাবার। কিন্তু অনলাইনে আবেদন করে এম্বাসী থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না এবং এম্বাসীর হেল্প লাইনে কল দিয়েও কাউকে লাইনে পাওয়া যাচ্ছে না। লক ডাউনে যানবাহন সংকটের কারণে দূরদূরান্ত থেকে প্রবাসীদের পক্ষে এম্বাসিতে উপস্থিত হয়ে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ এম্বাসী থেকে প্রবাসীদেরকে ১৫ দিনের খাবার সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে তার মধ্যে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আটা, ২ কেজি মাকুরানা (নুডুলস জাতীয়), সয়াবিন তেল ১ লিটার এবং ১ পিস সাবান দেয়া হচ্ছে ত্রাণ হিসেবে।উল্লেখ্য, দেশটিতে এপর্যন্ত ৪০ জন করোনায় আ’ক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১১ জন।