শাবানার অভিনয় ছাড়ার কারন জানালেন স্বামী ওয়াহিদ সাদিক !!
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়কার দাপুটে অভিনেত্রী ছিলেন শাবানা। তিন দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় তিনশ’র মত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয় দিয়ে তিনি জয় করেছেন কোটি ভক্তের হৃদয়। অভিনয় ছেড়ে শাবানা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অবসর জীবন’ কাটাচ্ছেন।
নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে অভিনয় জগতকে টা টা বলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বামী-সন্তান নিয়ে থিতু হন শাবানা। কিংবদন্তি এই নায়িকা অভিনয় ছেড়ে দেয়ার পর ঢাকার চলচ্চিত্র জগতের এমন ‘দুরবস্থা’ হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তার স্বামী প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক।
এমনটি জানিয়ে ওয়াহিদ সাদিক গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এখনও শাবানাকে হারানোর ‘ক্ষ’ত’ সেরে উঠতে পারেননি। পারিবারিক কাজে সপ্তাহ খানেক আগে ঢাকায় এসেছেন শাবানা ও ওয়াহিদ সাদিক। সপ্তাহ দুয়েক পর তারা আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন।
এই ফাঁকেই ঢাকার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক। শাবানা কেন অভিনয় ছেড়েছেন তা নিয়েও কথা বলেছেন তার স্বামী। বলেন, শৈশব থেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাবানা। নিজেকে দেয়ার মত সময় পাননি। তাই অভিনয় ছেড়ে এখন নিজের মত করে সময় কাটাচ্ছেন শাবানা।
শাবানা শুন্যতা পূরণ হবে না ভাবেননি স্বামী সাদিক। বলেন, শাবানা অভিনয় ছেড়ে দেয়ার পর ঢাকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই দুরবস্থা হবে কল্পনাও করিনি। শাবানা অভিনয় থেকে তো অবসর নিতেই পারেন তাই বলে আরেকজন সিনেমা করবে না? সিনেমায় এমনটা হচ্ছে বলেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছে না বলেও মনে করেন তিনি।
শাবানা ও প্রযোজন ওয়াহিদ সাদিকের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে ফারহানা সাদিক এমবিএ, সিপিএ করেছেন। ছোট মেয়ে সাবরিনা সাদিক ইয়েল ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে শিকাগোর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন। একমাত্র ছেলে শাহীন সাদিক নিউজার্সির রাদগার্স ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্থানীয় এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
নায়িকা শাবানা কেন অভিনয় ছাড়লেন, জানালেন স্বামী সাদিক
উল্লেখ্য, ষাটের দশকের শুরুতে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি আফরোজা সুলতানা রত্নার; ১৯৬৭ সালে নাদিমের বিপরীতে ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় চিত্রপরিচালক এহতেশাম তার নাম দেন ‘শাবানা’। এরপর ‘ভাত দে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘মাটির ঘরসহ অসংখ্য দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র উপহার দেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই গুণী শিল্পী।
বিয়ের জন্য সৎ ও যোগ্য পাত্র খুঁজছেন চিত্রনায়িকা পপি
বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। সৎ ও যোগ্য পাত্র পেলে এ বছরেই বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমন তথ্য নায়িকা নিজেই জানিয়েছেন।
২০১৯ সালে পপি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন এখনও বিয়ে করছেন না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সৎ ও যোগ্য পাত্র না পাওয়াতে বিয়ে করিনি। তবে খোঁজ চলছে। মিলে গেলে ২০২০ সালেই বিয়ে হয়ে যাবে।
পপি বলেন, সত্যি কথা কী একজন ছেলে, ‘জান খেয়েছ, জান ঘুমিয়েছো’— লিখে একই এসএমএস ১১ জন মেয়েকে পাঠায় এমন ছেলের সঙ্গে বিয়ে করতে চাই না। তিনি আরও বলেন, সৎ ও বিশ্বাসযোগ্য ছেলে পাওয়া খুব মুশকিল। স’ম্পর্কের জায়গাটায় সততা থাকতে হবে। যদি এমন না পাই তাহলে আরও ২০ বছর গেলেও বিয়ে না করার আফসোস হবে না।
এ পর্যন্ত কতবার প্রেমে পড়েছেন-জানতে চাইলে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ডজনেরও বেশি ছেলে আমার প্রেমে পড়েছে। কিন্তু আমি এক-দুজনের সঙ্গে প্রেমে পড়েছি। তবে প্রেম করতে গিয়ে ধরা খেয়েছি। যার প্রেমেই পড়েছি, একসময় দেখেছি ভণ্ড, চরিত্রহীন ও মিথ্যাবাদী।
১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে আবির্ভূত হন পপি। মেঘের কোলে রোদ, কি যাদু করিলা, গঙ্গাযাত্রা ছায়াছবিতে অভিনয়ের করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি সাদেক সিদ্দিকী পরিচালনায় পপি অভিনীত ‘সাহসী যোদ্ধা’ ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন বছরে গ্যাংস্টার নামে নতুন ছবিতে চুক্তি হয়েছেন তিনি। এছাড়া ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই বিজয়ী হয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।