শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে মায়েদের আড্ডা আর করতে দেয়া হবে না!
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে, শিক্ষার্থীর মা এবং অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আড্ডা দিতে, অপেক্ষা করতে এবং তাদের অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এই ধরনের জমায়েত নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীপু মনি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষার্থীদের মায়েদের আড্ডার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলা হয় যে স্কুলে, মায়েরা তাদের সন্তানদের নিয়ে গেটের সামনে বা মাঠে আড্ডা দেয়, একটি বৃত্তে বসে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে ঢাকার স্কুলগুলোর সামনে অভিভাবকদের প্রচুর সমাগম হয়।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে একদিনের বেশি স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন এবং বলেন, সাধারণ মানুষ স্কুল খোলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আপনি যদি স্কুল খুলেন, তাহলে কেন আর একদিন খুলবেন না।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চেকলিস্টের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করবে।
দীপু মনি বলেন, যেহেতু সব ধরনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে, তাই শিক্ষার্থীদের জন্য শুরুতে সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাব থাকবে। এবং অনেক প্রতিষ্ঠানে একই ক্লাসে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এছাড়া সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনা করে সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা মায়েরা দলে দলে আড্ডা দেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে তারা তাদের দূরত্ব বজায় রাখতে পারে।
এদিকে, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষ পাঠদান শুরু হবে।