শিশু গৃহকর্মীকে গরম আয়রনের ছ্যাঁকা, সিআইডির স্ত্রী আটক
শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে নাটোরে সিআইডি কর্মকর্তা খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের মা সুমি বেগমের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে (৮ সেপ্টেম্বর) নাটোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (৮সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুমি বেগম শিশুটিকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে যান। যখন তিনি তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে এবং তার স্বজনদের জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি তিন বছর ধরে চলমান নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় পুলিশ অফিসার সুমি বেগমের স্ত্রী এবং শাশুড়ি দিলারা বেগমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশুটি তিন বছর আগে ঢাকায় সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক খন্দকার আতিকুর রহমানের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে চাকরি নিয়েছিল। এরপর থেকে তাকে তার বাবা -মায়ের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রথম আট মাস বেতন নিয়মিত বাড়িতে পাঠানো হলেও পরে তা ঠিকমতো দেওয়া হয়নি।
তারা আরও বলেন, কাজে যোগ দেওয়ার এক মাস পর গৃহবধূ সুমি বিভিন্ন বিষয়ে শিশুকে তর্ক ও নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে তার শরীর গরম লোহার সঙ্গে জালিয়াতি করা হয়। এছাড়া প্লাস দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ত্বক অপসারণ করা হয়। শিশুটির মাথা, আঙ্গুল ও পায়ের আঙ্গুলসহ সারা শরীর আহত হয়েছে।
শিশুটি বলেছিল যে যদি সে কাজে ভুল করে তবে তাকে অনেক মারধর করা হবে। উচ্চস্বরে কান্না করলে আরো প্রাণ হত। যাইহোক, বাড়ির পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর তার মাকে ডেকে তার নিজের মেয়ের মত আদর করে। এমনকি তিনি তার স্ত্রীকে মারধরের জন্য বকাঝকাও করেছিলেন।