শীত কমলে নামতে পারে বৃষ্টি !!
রাজধানী ঢাকাসহ শীতে স্থবির সারাদেশ। চার দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই কোথাও। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববারের (২২ ডিসেম্বর) পর থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। এদিকে রেকর্ড ছাড়িয়েছে ঢাকার তাপমাত্রা। রাজধানীতে শীতের অনুভূতি এখন উত্তরাঞ্চলের মতোই বলা যায়। সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ। তাপমাত্রার পার্থক্য ছিলো ছিল মাত্র ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থা রোববারও অব্যাহত থাকার আভাস রয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, সোমবার থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির পেতে পারে। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মাসের শেষে তাপমাত্রা বাড়লেও বছর শুরু হবে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে। এদিকে সারাদেশে হঠাৎ শীত জেঁকে বসায় খেটে খাওয়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। অফিসগামী মানুষ গায়ে গরম কাপড়, কান টুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে অফিস করছেন।
সকালে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন একটু দেরি করে, তেমনি ঘরেও ফিরছেন খুব দ্রুত। সন্ধ্যার পর বা সারাদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় শহরের বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম দেখা যাচ্ছে খুব কমই। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ-ই ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বেড়েছে আরও বেশি। ভোরে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে যেতে হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে তুলনামূলক হারে। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেক জায়গায় ভীড় করে গ্রামবাসীকে আগুন পোহাতেও দেখা গেছে। তীব্র শীতের কারনে শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে ঘুরে দেখা গিয়েছে গরম কাপড় কিনতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ ভীড় জমিয়েছেন। দোকানিরাও বেশ আনন্দে-উল্লাশে গরম কাপড় বিক্রি করছেন। তবে দামী দামী দোকানের থেকে ফুটপাতের দোকান গুলোতে সবছেয়ে বেশি ভীড় দেখা গিয়েছে।