সম্মান বেশি পেতে আবারও বিয়েতে পেঁয়াজ উপহার !!
দিনাজপুরের বিরলে বিয়ে এবং বিবাহত্তোর বউভাত অনুষ্ঠানে ডাবল সেঞ্চুরি করা মহামূল্যবান পেঁয়াজ উপহার দিয়েছেন এক পৌর কাউন্সিলর। আর এই পেঁয়াজ উপহার দেয়ার কারণে বর কনের ইচ্ছায় ওই কাউন্সিলরকে উকিলবাবা হিসাবে কাবিননামায় সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিরল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান এক বউভাত অনুষ্ঠানে পেঁয়াজ উপহার নিয়ে হাজির হোন। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের বাড়ীতে পেঁয়াজ উপহার দেন।
জানা যায়, শুক্রবার বিরল পৌরশহরের কলেজ পাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে রায়হান আলীর সঙ্গে সদর উপজেলার রানীগঞ্জ গ্রামের মাঈনুদ্দিনের মেয়ে মিতু আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ে এবং বিবাহত্তোর অনুষ্ঠানে মিষ্টির পরিবর্তে পেঁয়াজ উপহার দেন কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান। বিয়েতে পেঁয়াজ উপহার দেয়ায় নববিবাহিত দম্পত্তি তাঁকে উকিলবাবা হিসাবে নিযুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে তাদের ইচ্ছায় কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান উকিল বাবা হিসাবে বিয়ের কবুল পড়ান এবং কাবিননামায় সাক্ষ্য দেন। বিষয়টি টক অব দ্যা দিনাজপুরে পরিণত হয়।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে বর রায়হান আলী জানায়, নিশ্চয়ই পেঁয়াজ উপহারের বিষয়টি আমাদের বিয়ে অনুষ্ঠানে আলাদা একটি আমেজ তৈরি করেছিল। তাই আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে কাউন্সিলরকে উকিল বাবা হিসাবে নিযুক্ত করেছি। তিনিও আমাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
কাউন্সিলর মোঃ হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিষ্টি নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। মিষ্টি ১৮০ টাকা কেজি, আর পেঁয়াজ ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। ভাবলাম এ সময় পেঁয়াজের সংকট চলছে, সারাদেশে আলোচনা হচ্ছে। তাই পেঁয়াজ নিয়ে গেলে একটু সম্মান বেশী পাব। এই আশায় মেয়ের বাড়ীতে বিয়েতে পেঁয়াজ আর ছেলের বাড়ীতে বৌভাতে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ উপহার দিয়েছি। আর এই পেঁয়াজ নিয়ে যাওয়ায় যে সম্মান বেশী পেয়েছি তার প্রমাণ হল আমাকে উকিল বাবা নিযুক্ত করা হল।