সিলেটের পর এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লবণ আতঙ্ক !!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে লবণ আতঙ্কে সাধারণ জনগণ। উপজেলার সর্বত্র মানুষজন হন্তদন্ত হয়ে ছুটছে লবণ কিনতে। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন মুদি দোকানে। লবণের দাম বেড়েছে শুনে কেউ কেউ প্রচুর লবন কিনে অটোরিকশায় ভরে বাড়িতে নিয়ে যান। এ উপজেলায় ১০ টাকার খোলা লবণ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা আর ৩০ টাকার প্যাকেটজাত লবণ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
চাতলপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ বলেন, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনতে পাই বাজারে লবণ নেই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি- লবণের দাম কেজিপ্রতি ১২০ টাকা- এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর থেকে বাজারে বেশি দামে লবণ বিক্রি হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে লবণের মজুদও শেষ হয়ে যায়। হঠাৎ করে লবণের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে দোকানিরা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফুরিয়ে গেছে প্রায় সব দোকানের লবণ। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দামে লবণ বিক্রি করছেন। কেউ কেউ লবণ মজুদ করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে পেঁয়াজের বাজার যখন গরম ঠিক সেই মুহূর্তে সিলেটের হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকার রহমান এন্টারপ্রাইজ থেকে প্রায় ২০ বস্তা লবণ জব্দ ও ৪ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের পরিচয় জানানো হয়নি। অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদসহ একদল পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় দুই ঘণ্টায় লাখ লাখ টাকার লবণ বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে লবণ মজুদ করাও শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। সর্বনিম্ন ৫ কেজি ও সর্বোচ্চ ৫০ কেজি করে লবণ বিক্রি হচ্ছে।
আমিরুল ইসলাম জানান, লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করায় ৪ জন আটক ও ২০ বস্তা লবণ জব্দ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার প্রস্তুতি চলছিল। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান জানান, শহরের চৌধুরী বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।