সৌদি আরবের সিদ্ধান্ত দেখে হজ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ !!
আসন্ন হজ মৌসুমে সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশী নাগরিকদের পাঠাবে কিনা তা নির্ভর করছে সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের ওপর।কারন সারাবিশ্বে করোনা ভা’ইরাস (কোভিড-১৯) মহামা’রীর কারণে আসন্ন মৌসুমে পবিত্র হজ পালন অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা শনিবার পর্যন্ত ঘোষণা করতে পারেনি সৌদি সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশী নাগরিকদের হজে পাঠানো হবে কিনা তা নির্ভর করবে সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের উপর, সৌদি আরব যদি রাজি না হয় তবে পাঠানো হবে না আর সৌদি আরব যদি চায় তবে পাঠানো হবে। সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের পরই বাংলাদেশ চূড়ান্ত নিবে।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা সৌদি সসরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। প্রতিনিয়ত তারা বলছে জানাচ্ছি, জানাচ্ছি। বারবার বলছে দ্রুতই জানাবে। যদিও এখন পর্যন্ত (শনিবার সন্ধা) সৌদি কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। পাশাপাশি সৌদি সরকার এখনও হজ অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করেনি। তাই তাদের সিদ্ধান্ত পাওয়ার আগে আমাদের কিছু করণীয় নেই।
তিনি বলেন, যেহেতু করোনা ভা’ইরাসের কারণে এমনিতেই বিশ্বে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে তাই তারা হয়তো পুরো বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)’র সঙ্গে পরামর্শ করছে হজ অনুষ্ঠান করলে কিভাবে করা যায় অথবা আদৌ করা সম্ভব হবে কিনা? কাজেই তারা আগে সিদ্ধান্ত দিক।
এদিকে ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশ তাদের দেশের নাগরিকদের হজ পালনের জন্য সৌদি আরব পাঠাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। আবার ভারত, পাকিস্তান এখনও এমন ঘোষণা দেয়নি।
হজ পালনে সৌদি সরকার সম্মত হলে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত কি হবে? জানতে চাইলে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ সেখানে হাজী পাঠাবে কিনা? সেটা শুধু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না। কারণ হাজিদের স্টিকার, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসাসহ নানা কাজে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা জড়িত।
একারণে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তা প্রয়োজন হয়। আর এবার তো করোনা মহামারীর কারণে ভিন্ন পরিস্থিতি। তাই এবার সৌদি আরব যদি হজ অনুষ্ঠান করেও তারপরও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধর্ম, স্বাস্থ্য, বিমান ও পর্যটন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ যতগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ রয়েছে তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা করে হজে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাঠানোর বিষয়ে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।