স্কুলের টয়লেটে ১১ ঘণ্টা, তালা ভেঙে রক্তভেজা মাস্কসহ ছাত্রী উদ্ধার
শারমিন আক্তার, একজন বাকপ্রতিবন্ধী ছাত্রী, ক্লাস বিরতির পর বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাড়ি ফিরতে পারেনি, কারণ সে স্কুলের টয়লেটে আটকে ছিল। রাত ১০ টার পর টয়লেটের তালা ভেঙে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় যখন সে রাস্তায় হাঁটতে থাকা এক যুবকের সামনে আসে।
স্থানীয় ও ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কচুয়ার আশরাফপুর দক্ষিণপাড়া হাজী বাড়ির আনোয়ার হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তার এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। শারমিন বাক প্রতিবন্ধী হলেও পড়াশোনায় তার অনেক আগ্রহ রয়েছে। সেজন্য অনেকদিন পর স্কুল খোলা হল এবং এখন সে প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় স্কুল বন্ধ। কিন্তু সে টয়লেট থেকে বের হওয়ার আগেই স্কুলের আয়া শাহানারা আক্তার শানু বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। শারমিন টয়লেটে আটকা পড়েছিল কারণ সে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কাউকে ডাকতে পারছিল না। শারমিনের বাবা ছুটির পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি এবং তার সহপাঠী ও আত্মীয়দের বাড়িতে তাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় স্বর্ণকার আল আমিন নামে এক যুবক স্কুলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, যখন সে টয়লেট থেকে আওয়াজ শুনতে পায়। তিনি বাথরুমে ছাত্রের উপস্থিতি শনাক্ত করার জন্য কিছুক্ষণ চেষ্টা করেছিলেন। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে বিদ্যালয় ও টয়লেটের তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। আল-আমিন জানান, রাতে ব্রিজে হাঁটার সময় তিনি স্কুলের বাথরুমে কারো আওয়াজ শুনতে পান। যখন ভেন্টিলেটরের ফাঁকে মানুষের হাত দেখলাম যখন মোবাইলের টর্চ জ্বলছিল, প্রথমে আমি ভয় পেয়েছিলাম এটা ভূত ভেবে। পরে আমি এলাকার লোকজনকে ডেকে তালা ভেঙে মেয়েটিকে উদ্ধার করি। উদ্ধারের সময় আমি তার মুখের মুখোশ রক্তে ভিজতে দেখেছি। আটকে যাওয়ার পর বারবার কথা বলার চেষ্টা করায় তার গলা থেকে রক্ত বের হতে পারে।