স্বাভাবিক হলেও সৌদিতে বাড়ছে বেকারত্ব, জানুন বিস্তারিত…
আতংকের আরেক নাম করোনাভা’ইরাস। মরণঘাতি এ ভা’ইরাস থমকে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। কোটি কোটি মানুষ আজ ঘরবন্দি। এমতাবস্থায় খুব কষ্টে সময় পার করছেন প্রবাসীরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বৈধ-অবৈধ মিলে প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই খুব অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।সৌদি আরবে করোনাভা’ইরাসের আলামত দেখার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ ভা’ইরাস মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেন। দেশটির নাগরিক ও প্রবাসীদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব তাদের বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
বেশকিছু নির্দেশনার কারণে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেকারত্ব বেড়ে গেলেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। তবে স্বাভাবিক হচ্ছে না প্রবাসী বাংলাদেশিরা জীবন যাপন।প্রথম দিকে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি মুহূর্তে দিক নির্দেশনামূলক বার্তা দেয়া হয়েছে। সচেতন করা হয়েছে নানাভাবে। কিন্তু প্রবাসীদের গাফিলতির কারণে আ’ক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কমছে না বাংলাদেশি আ’ন্তের সংখ্যা। আ’ক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা। এক রুমে ৪-৫-৮ জন করে থাকা, বাইরে গেলে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস না পরা, পরীষ্কার পরিচ্ছন্নতা না থাকা ইত্যাদি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী বলেন, করোনাভা’ইরাসের লক্ষণ নিয়েও রুম থেকে আলাদা হতে না পারার ফলে আ’ক্রান্ত হচ্ছেন সে রুমের অনেকে। চাইলেই তো আলাদা থাকা যায় না। ভিনদেশে এসেছে অনেক হিসেব নিকেশ করে চলতে হয় আমাদের। তাছাড়া কোম্পানি কিংবা কোফিল না চায়লে হবে না। প্রতিনিয়ত প্রবাসীদের আ’ক্রান্তের সংখ্যা।
আরেক বাংলাদেশি বলেন, নিরুপায় হয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একরুমে গাদাগাদি করে থাকে। করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও আলাদা থাকার ব্যবস্থা কম। এই মুহূর্তে নতুন কোথাও বাসাও পাওয়া যাবে না। তাছাড়া চাকরির কারণে ইচ্ছা করলে অনেক কিছুই করা যায় না। এদেশে অনেক বাংলাদেশি অবৈধভাবে থাকে। তাদের ক্ষেত্রেও করোনা করানো খুবই কঠিন। পুলিশ ধরলে বিপদের উপর বিপদ।
প্রবাসীরা বলছেন, সরকার যদি রিয়াদ দূতাবাসের সহযোগিতায় সৌদির প্রত্যেক প্রদেশে কিছু সেভ হুম নিয়ে রাখতেন তাহলে এত বেশি সমস্যা হতো না। প্রত্যেক প্রদেশে কিছু অস্থায়ী স্বেচ্ছাসেবক টিম বানিয়ে রাখা উচিত ছিল। এছাড়া অ্যাম্বুলেস সেবার ব্যবস্থাও থাকার দরকার ছিল। রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সৌদি আরবের সাথে আলাপ করে এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করলে কিছুটা হলেও করোনা আ’ক্রান্ত কমবে।