হাসপাতাল থেকে আসায় নারী স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে এ কেমন অমানবিকতা !!
রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী (২১)। গত মঙ্গলবার তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে এলাকাবাসী একটি নির্জন স্থানে পুকুরের মধ্যে তালপাতা দিয়ে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে তার মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মী সেখানে অবস্থান করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের লগন্ডা গ্রামে।
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক। ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে এলাকাবাসী এভাবে না রেখে আমাদের জানালে তাকে আমরা প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পারতাম। আমরা তাকে ওখান থেকে এনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করবো। অন্যদিকে ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে যারা এভাবে ঝুপড়ি ঘরের ভেতর রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
A 21-year-old woman health worker from Gopalganj’s Kotalipara upazila works in a private hospital in the capital Dhaka. Last Tuesday he came home on holiday. After coming home, on the instructions of a local Awami League leader, the woman health worker was quarantined in a secluded place by the locals by constructing a hut with palm leaves in a pond. The woman health worker, who has been burning in the sun for about a week and is soaking wet in the rain, has been staying there. The incident took place at Lagonda village in Sadullapur union of the upazila.
Meanwhile, it is learned that the woman health worker was working at Impulse Hospital in Dhaka. The hospital authorities discharged him due to coronavirus. He came home on vacation. When the news of her arrival spread in the area, Sadullapur Union Awami League Organizing Secretary Prashant Barai instructed the locals to build a hut with palm leaves in a pond in a secluded place about 400 meters away from her house and quarantine her.
The woman health worker said, “I have been living in the sun for about a week now, soaking wet in the rain.” As a health worker I have served many people. And my health is under threat from here today.
The health worker’s mother said, “I don’t have a husband.” My family lives on the income of this girl. My daughter is not married yet. He was thus kept in a hut in a pond. If something happens to my daughter, who will take the responsibility? The Awami League leader of the area, Prashant Barai, put pressure on my daughter to stay here. I am seeking the intervention of the administration. In this regard, Awami League leader Prashant Barai said, “By the decision of all the locals, the woman health worker has been kept in a shack in the pond.”
In this regard, Kotalipara Upazila Nirbahi Officer SM Mahfuzur Rahman said, the matter is very inhuman. If the locals had informed us not to keep the health worker like this, we could have kept him in the institutional quarantine. We will bring him from there and arrange for him to be placed in the home quarantine. On the other hand, legal action will be taken against those who kept the female health worker inside the hut.