১৫০ ইরানি বংশোদ্ভূত নাগরিককে আ’ট’ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র !!
কমপক্ষে ১৫০ জন ইরান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে আ’ট’ক করেছে ওয়াশিংটন কর্তৃপক্ষ। কানাডা থেকে আমেরিকায় ফেরার পথে এসব নাগরিককে আ’ট’ক করা হয় বলে জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।
ইরানের ৫২টি স্থাপনায় হা’ম’লা চালানোর ট্রাম্পের হু’ম’কি পরই এই শতাধিক ইরানিকে আ’ট’ক করার ঘটনা ঘটল।রোববার কাউন্সিল অব আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের (কেয়ার) নামক এক সংস্থার বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট আই জানায়, শনিবার এক ইরানি পপ কনসার্ট উপভোগ করতে কানাডার ভা’ঙ্কু’বারে গিয়েছিলেন ওই মার্কিন নাগরিকরা।
কনসার্ট শেষে ফেরার পথে ওয়াশিংটনের ব্লেইন এলাকার পিচ আর্চ সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তাদের আ’ট’ক করে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বাহিনী (সিবিপি)।একই বিবৃতি ওয়াশিংটনের কেয়ার সংস্থা জানায়, সীমান্ত পেরিয়ে ঘরে ফেরার সময় অনেক ইরান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে আ’ট’ক করা হয়। এসময় তাদের অনেককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।
এদিকে এ আ’ট’ক ঘটনার নি’ন্দা জানিয়েছেন ইরানিয়ান আমেরিকান কম্যুনিটি সংগঠন। সংগঠনটির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেস সদস্য প্রমীলা জয়পাল।এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইরানিয়ান আমেরিকান কম্যুনিটি সংগঠন।
সম্মেলনে সংগঠনটির নেতা হোদা কাতেবি বলেন, ‘যাদের আ’ট’ক করা হয়েছে তাদের বাপ-দাদা ইরানের হলেও তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাই জন্মসূত্রে তারা মার্কিন নাগরিক। কোনো কারণ ছাড়াই মার্কিন নাগরিককে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আ’ট’কে রাখা এবং জিজ্ঞাসাবাদ আইনত অবৈধ।’
ওই বিবৃতির পর মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলছে, ইরানি বংশোদ্ভুত হওয়ার কারণে এসব লোকজনকে আ’ট’ক করা হয়নি। ওই সীমান্ত দিয়ে যেই আসুক তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় হয়। এটা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর রুটিন ওয়ার্কের অংশ।
ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিল (এনআইএসি) নামক এক সংস্থার যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক মানা মোস্তাতাবি মিডল ইস্ট আইকে বলেছেন, প্রায় ১৫০ ইরান বংশোদ্ভূতকে ১১-১৬ ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদেরকে আত্মীয়-স্বজন, জন্ম তারিখ, ইরানে সর্বশেষ সফর এবং ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উ’ত্তে’জনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
প্রসঙ্গত শুক্রবার সকালে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হা’ম’লা’য় ইরানের দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নি’হ’ত হন। কুদসপ্রধান সোলাইমানিকে হ’ত্যা করার কথা স্বীকার করে ইশ্বর তার পাশে আছেন বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ হ’ত্যা’কা’ণ্ডের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উ’ত্তে’জনার পারদ চরমে উঠেছে।