২ মানবাধিকার কর্মীকে জেনেভা থেকে অপহ’রণ করেছে সৌদি !!
সুইজারল্যান্ডের শহর জেনেভা থেকে দুই সৌদি সমালোচককে অপহ’রণ করে নিয়ে গেছে সৌদি আরব। ব্রিটেন ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা প্রিজনার্স অব কনসাসের বরাতে দ্য নিউজআরাবিয়ার খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আইনজীবী হাসান আল-ওমারিকে ২০১৭ সালের অক্টোবরে অপহ’রণ করা হয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরের মার্চে মানবাধিকার কর্মী হাসান আল-কানানিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রিজনার্স অব কনসাস সাধারণত সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘ’ন নিয়ে কাজ করে। সংস্থাটি বলছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশটির এই দুই সমালোচককে অপহ’রণ করে নিয়েছে।
তাদের নিখোঁজে নেপথ্যে সৌদির ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল দেশটির বি’রুদ্ধে সমা’লোচনা থেকে বিরত রাখতে তাদের আগেও বেশ কয়েকবার হুমকি দেয়া হয়েছিল। ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে হাজার হাজার বেসামরিক লোককে হত্যার ঘটনায় রিয়াদের সমালোচনা করে আসছিলেন আল-ওমারি। গৃহযু’দ্ধ কবলিত প্রতিবেশী দেশটি থেকে অতিসত্বর সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এই অপহ’রণের খবর নিয়ে সৌদি ও সুইস কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নির্ম’মভাবে হ’ত্যার পর সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উ’দ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক ধ’রপা;কড় অব্যাহত রয়েছে। গত দুই বছর শত শত মানবাধিকারকর্মী ও অ্যাকটিভিস্টকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
মিডল ইস্ট মনিটরের খবর বলছে, ওমারির নি’খোঁজ হওয়ার আগে সুইজারল্যান্ড থেকে এক সৌদি প্রিন্সেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সেই খবর নেই সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে। ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর সৌদি প্রিন্স খালিদ বিন ফারহান আল সৌদ অ’ভি’যোগ করেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে অপ’হ’রণের চেষ্টা চালিয়েছে। তার এই অ’ভি’যোগের দুই সপ্তাহ পরেই হ’ত্যার শি’কার হয়েছেন সাংবাদিক জামাল খাসোগি।