৪ ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিল লা’শ, করোনা আ’তঙ্কে ছুঁয়েও দেখেনি কেউ, এরপর…!!
প্রা’ণঘাতী করোনা ভা’ইরাসের মধ্যে সেন্টমার্টিনে মোহাম্মদ সলিম নামের এক জেলের মৃ’ত্যু নিয়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি থেকে চিকিৎসার জন্য বের হয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় এ জেলে মারা যান। কিন্তু এ জেলের মৃ’তদেহটি রাস্তায় পড়েছিল টানা ৪ ঘণ্টার মতো। করোনা আ’ক্রান্ত রোগী ভেবে কেউ যাননি পাশে।
এদিকে ৪ ঘণ্টা পর পুলিশের তত্ত্বাবধানে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানাজা শেষে এ ব্যক্তির দাফন করেন। তবে এ দাফন কার্যেও ছিল না পাড়া প্রতিবেশী, স্বজনরা।জানা যায়, মোহাম্মদ সলিম পেশায় একজন জেলে। সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়ার মো. হারুনুর রশিদের মালিকানাধীন ফিশিং বোটের মাঝি ছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে ফিশিং বোট মালিক হারুনুর রশিদ জানান, দীর্ঘবছর ধরে তার ফিশিং ট্রলারে মাছ ধরার কাজ করেন সলিম। তিনি মাঝে মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মাছ ধরতেও যেতে পারতেন না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থতায় ভুগছিলেন।এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু বক্কর বলেন, সলিম অনেক দিন ধরে অসুস্থ। প্রায় সময় ডাক্তার দেখাতে টেকনাফ যেতেন। কয়েকদিন আগে তার খাবার ওষুধ শেষ হয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে ডাক্তার দেখাতে সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়া নিজ বাড়ি থেকে সলিম সকাল ৮টায় বের হন। কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায় জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। সলিমের স্ত্রী, ১ মেয়ে, ১ ছেলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সলিম করোনা আ’ক্রান্ত নন। কিন্তু এখন মানুষ ম’রলেই করোনায় মৃ’ত্যু হয়েছে বলে ভয়ে আশপাশে আসে না। স্থানীয়রা করোনা আ’ক্রান্ত ভেবে লা’শটি কেউ ধরেননি। খবর পেয়ে পুলিশের তত্ত্বাবধানে সাড়ে ১২টার দিকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। তারপরও যারা জানাজা ও দাফনের কাজ করেছে তাদের ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।