৭০ বছর আগের হারানো ছেলেকে খুঁজে পেলেন শতবর্ষী মা!
আব্দুল কুদ্দুশ মুন্সী ১০ বছর বয়সে তার চাচার সাথে রাজশাহীতে পড়াশোনা করতে যান এবং হারিয়ে যান। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৬০ বছর পর হারিয়ে যাওয়া ছেলেটি অবশেষে তার শতবর্ষী মা মঙ্গল নেশাকে খুঁজে পেল। তিনি ছেলেটিকে আবেগে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আশরাফবাদ গ্রামের বোন ঝর্ণা বেগমের বাড়িতে মা ও ছেলের দেখা হয়। ছেলেটি তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত শত শত নারী -পুরুষের চোখে জল এসে গেল।
জানা গেছে, মঙ্গল নেশা তার ছেলেকে রাজশাহীর আত্রাই উপজেলায় নবীনগর উপজেলার দিরগাশাইল গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার সাথে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হারিয়ে যান। আউয়াল মিয়া অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। তিনি একই উপজেলার নি:সন্তান সিংশাইর গ্রামের সাদেক মিয়ার স্ত্রী দ্বারা লালিত -পালিত হন। ৩০ বছর বয়সে তিনি বাগমারা উপজেলার সাবেদ মিয়ার মেয়ে সুরজ্জাজাহানকে বিয়ে করেন এবং তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
তার তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। বড় ছেলে রাজ্জাক ইরাকে এবং দ্বিতীয় ছেলে জান্নাত সৌদি আরবে থাকেন। ছোট ছেলে হাফিজ সোহেল বাসায় থাকেন। পাঁচটি মেয়ের সবই বিবাহিত।
আবদুল কুদ্দুস মুন্সী, ১০ বছর বয়সে হারিয়ে যাওয়া ছোট ছেলে, আজ ৮০ বছর বয়সী। ১২ এপ্রিল, রাজশাহীর আত্রাই উপজেলার সিংশাইর গ্রামের এম কে আইয়ুব নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে কুদদুচ মুন্সীর নিখোঁজের একটি ভিডিও আপলোড করেন। আবদুল কুদ্দুস সেই ভিডিওতে হারিয়ে যাওয়ার গল্প বলেছিলেন। সেখানে তিনি কেবল তার বাবা -মা এবং তার গ্রামের নাম বলতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যখন ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে, তখন দেশ -বিদেশে ছড়িয়ে থাকা নবীনগরের বাড্ডা গ্রামের বাসিন্দারা সাড়া দিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে আবদুল কুদ্দুসকে তার পরিবারের সদস্যরা খুঁজে পান।