ব্রেকিং নিউজঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুখোমুখি ২ ট্রেন !
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ রেলস্টেশনে ঢোকার সময় যাত্রীবাহী দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ।
আজ (১২ নভেম্বর) ভোররাত পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট ও ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন লোকোশেডের ইনচার্জ সহকারী প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি মন্দবাগ স্টেশনের লুপ লাইনে প্রবেশ করছিলো। সেসময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেন উদয়নের শেষ দিকের তিনটি কোচকে ধাক্কা দেয়। উদয়ন লুপ লাইনে ঢোকার সময় ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথার মেইন লাইনে থেমে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু, সিগন্যাল না মেনে তূর্ণা সচল থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিমত এই প্রকৌশলীর।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে। এরপর আহতদের মধ্যে দুইজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং একজন কুমিল্লায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও জানান, উদয়ন ট্রেনের শেষ তিনটি কোচ ও তূর্ণার ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দূর্ঘটনার পর রেল পুলিশ ও দমকল বাহিনীর তিনটি ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে। এছাড়াও, দুর্ঘটনার খবরে আশপাশের গ্রাম থেকে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, ভোর ছয়টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি কোচসহ পেছনের আরও তিনটিসহ মোট ছয়টি কোচ রেখে বাকি কোচগুলো নিয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম রওয়ানা করে।