রেলওয়ে পুলিশকে বললাম হেল্প করতে, সে বললো ‘ভয় করে’, বাকিরা ছবি তুলতে ব্যাস্ত !!
মৃত্যু আজ অনেক কাছ থেকে দেখলাম।আমি আর আমার সদ্য বিবাহিত বউ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেসে ছিলাম। রাত ৩টার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সাথে সংঘর্ষ হয়। ফলে উদয়ন এক্সপ্রেসের পিছনের দিকের ৩টা বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
হতাহতের সংখ্যা আনুমানিক ২০ জন এবং আহত শতাধিক। হতাহতের সংখ্যা আরও হয়তো বাড়তে পারে। যারা আহত, তাদের অবস্থা বর্ণনা করার মতো না।একটা ব্যাপার খুব খারাপ লাগলো। আমরা ট্রেনের কিছু যাত্রী এবং স্থানীয় কিছু লোক ছাড়া সবাই ছবি তুলতে, ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিল।
ট্রেনের কোনো পুলিশ এবং স্থানীয় বিডিআর উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল নিস্ক্রিয়। আমি একটা রেলওয়ে পুলিশকে বললাম হেল্প করতে। সে বললো তার নাকি ভয় করে।১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়। এই হলো আমার বাংলাদেশ।
যাইহোক, আল্লাহর রহমতে আমরা ভালো আছি। সবাই দোয়া করিস যারা মারা গেছে এবং যারা আহত তাদের জন্য।সাথে আমাদের জন্যও একটু দোয়া করিস, আমরা যাতে সুস্থ শরীরে খুলনা পৌঁছাতে পারি।
(আব্দুর রহিমের ফেসবুক পোস্ট থেকে)