কুয়েতে বিক্ষোভের মুখে সরকারের পদত্যাগ !!
দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে সপ্তাহব্যাপী চলা বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েত প্রধানমন্ত্রী শেখ জাবের মুবারক। বৃহস্পতিবার সংসদীয় অধিবেশন শেষে কুয়েতের আমির সাবাহ আল আহমাদ আল জাবির আল সাবাহর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। সরকারের মুখপাত্র তারেক আল মেজরেমের বরাত দিয়ে কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কুনা এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সংসদের এমপিরাও গত কয়েকদিন ধরে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতের আমীর এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন। কারণ সংসদ সদস্যদের কাছেও বর্তমান মন্ত্রিসভার তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই। দেশটির সংসদে গত মঙ্গলবার মুবারক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ আল-জারাহ আল-সাবাহর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন আইনপ্রণেতারা। চলতি মাসেই অর্থমন্ত্রী নায়েফ আল-হাজরাফ ও গণপূর্তমন্ত্রী জেনান বুশেহরি পদত্যাগ করেন।
তারেক আল মেজরেম জানান, মন্ত্রীদের পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। কুয়েতের আমীর নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব কাকে দেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী ২০ তারিখে সংসদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর আগ পর্যন্ত পদত্যাগী সরকারই দায়িত্বে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর।
কুয়েতে নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা প্রশ্নবিদ্ধ হলে কিংবা সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এলে প্রায়ই মন্ত্রিসভার পদত্যাগের ঘটনা ঘটে। দেশটিতে সর্বশেষ ২০০১, ২০০৮ ও ২০১১ সালে সরকারের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। এবার দেশটির ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্য শেখ খালিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনপ্রণেতারা। তবে বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন শেখ খালিদ।
এদিকে সরকারের পদত্যাগের পর সংসদের বাইরে চলমান অবস্থান কর্মসূচি আপাতত বন্ধ হবে ধারণা করা হচ্ছে। ৭-৮ দিন ধরে নাগরিকত্বহীন বেদুইনরা বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন। তারা দেশটিতে দুর্নীতি বন্ধ ও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নাগরিকত্ব সমস্যার সমাধান চান। দেশটিতে প্রায় এক লাখ মানুষ কয়েক দশক ধরে ‘রাষ্ট্রহীন’ অবস্থায় রয়েছেন।