মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিরা ঋণ শোধের জন্য অবৈধ, জানালেন ইমিগ্রেশন ডিজি !!
ব্যাপক অর্থ খরচ করে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে বাংলাদেশিরা। আর যে অর্থ তারা প্রদান করে তার অধিকাংশই ঋণ করে। অথবা জায়গা জমি বিক্রি করে মালয়েশিয়ায় আসে বাংলাদেশিরা। বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তারা অবৈধ হয়ে যায়। একথা শুধু বাংলাদেশিরা জানলেও আজ বিষয়টি মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অভিবাসন বিভাগ পর্যন্ত জেনে গেছে। তাই অভিবাসন বিভাগের প্রধান জানালেন বাংলাদেশিদের অবৈধ হওয়ার কারণ।
বিভিন্ন সময় মালয়েশিয়ায় আগত কাজের ভিসায় সেদেশে অবস্থান করছে প্রায় ৬ লাখ বাংলাদেশি। ১৫ নভেম্বর শুক্রবার মালয়েশিয়ার শাহ আলমে স্থানীয় একটি দৈনিকে সাক্ষাৎকারে অভিবাসন বিভাগের প্রধান দাতুক খায়রুল দাজামি দাউদ একথা বলেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কাজের ভিসা নিয়ে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ২শত ৯২ জন অবস্থান করছে। এছাড়াও প্রফেশনাল ভিসা আছে আরো ৪ হাজার ৯শত ৮ জনের। তারা সবাই মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। সবমিলিয়ে বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৫ লাখ ৮০ হাজার ২শত।
তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিদেশি অভিবাসিরা যদি অবৈধভাবে অবস্থান করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের ১৫(১) ২৯৫৯/৬৩ ধারায় ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫ বছরের জেল অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
এসময় তিনি আরও বলেন, ৭০% বাংলাদেশি ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তারা ফিরে যায় না, কারণ এদেশে আসার জন্য তারা মোটা অংকের টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, জানুয়ারি ২০১৭ থেকে নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় ২৯ হাজার ২শত ৫১ জন বাংলাদেশি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বৃহত্তর এই শ্রমবাজার চালু করতে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে অব্যাহত রয়েছে যোগাযোগ।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরে আসা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জানান, আমরা কোন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক প্রেরণ করব না। মালয়েশিয়া সরকার চায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকদের জন্য যেন কোনো সিন্ডিকেট না হয়। সিন্ডিকেটের কারণে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় হয় বাংলাদেশিদের। আর অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় বাংলাদেশিদের অবৈধ করে।