হাসপাতালের লিফট ছিঁড়ে নিচে আমীর খসরুসহ ১২ বিএনপি নেতা,এরপর…!!
বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফট দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির কয়েকজন নেতা।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ-ভাঙাচোরা লিফটের চেইন ছিঁড়ে দোতলার কাছাকাছি থেকে নিচতলায় গিয়ে পড়ে। এ সময় তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত তারা অক্ষতভাবে লিফট থেকে বের হতে পেরেছেন।
সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. সেলিম।তিনি বলেন, হাসপাতালের পাঁচতলায় অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে আহতদের দেখে নিচতলায় নামার জন্য লিফটে উঠেছিলেন বিএনপি নেতারা।
তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি এমএ আজিজ, যুগ্ম-সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম ও ইয়াছিন চৌধুরী লিটনসহ ১২ জন নেতা। তাদের সঙ্গে যাওয়া আরও নেতাকর্মীরা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, লিফট যখন দোতলার কাছাকাছি আসে, তখন হঠাৎ একটি শব্দ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে লিফটটি নিচতলা থেকে আরও প্রায় এক হাত নিচে দেবে যায়। আমরা বুঝতে পারি, চেইন ছিঁড়ে লিফটটি নিচে পড়ে গেছে। এরপর আমরা লিফটের বদ্ধ দরজায় আঘাত করতে থাকি। আমাদের যে সব নেতাকর্মী সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন, তারা শব্দ শুনতে পেয়ে আমাদের উদ্ধার করেন। দরজা খোলার পর আমরা দুইহাত দিয়ে মেঝেতে ভর দিয়ে ওপরে উঠে আসি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত নায়েক আবদুল হামিদ বলেন, লিফট সামান্য দেবে গেছে। এতে বিএনপির কয়েকজন নেতা আটকা পড়েছিলেন ভেতরে। পরে সবাইকে বের করা হয়েছে। কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।
প্রসঙ্গত, রোববার সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডে বড়ুয়া ভবন নামে একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় বিস্ফোরণে দেয়াল বিধ্বস্ত হয়। আশপাশের আরও কয়েকটি বাসা এবং দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণে নারী ও কিশোরসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।