ওজন কমাবে পাকা পেঁপের বীজ, কিভাবে খাবেন জেনে নিন !!
ফল বলতেই দেহের জন্য ভিটামিনের জোগান দেয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং উপাদেয় ও হজমে সহায়ক। পুষ্টিবিদরা বলেন, দেহের জন্য ফলের থেকে বেশি উপকারী আর কোনো খাবার নেই। সব ফলই যথেষ্ট উপকারী। তবে তন্মধ্যে পেঁপের কথা কিছুটা হলেও ভিন্ন। কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে আর পাকা অবস্থায় ফল হিসাবে ব্যবহৃত পেঁপের রয়েছে নানাবিধ গুণ।
পুষ্টিবিদরা বলেন, জন্ডিস থেকে ডেঙ্গু- এমনকি ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি রোগের ক্ষেত্রেও পেঁপের উপকার তুলনাহীন! গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য পেঁপে মহৌষধি। হজমের সমস্যার সমাধানেও পেঁপে বেশ কার্যকরী।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় পেঁপে। তবে জেনে অবাক হবেন যে, শুধু পেঁপেই নয়, পেঁপের বীজও প্রচণ্ড রকমের উপকারী আর পুষ্টিগুণে ভরপুর! তাই বিজ্ঞানীদের বক্তব্য- পেঁপের বীজ ফেলে না দিয়ে তা কাজে লাগান।
ওজন কমানোর জন্য কত কিছুই না করি আমরা। কিন্তু কিছুতেই যেন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। বর্তমান যুগের লাইফস্টাইলে তা সত্যিই অসুবিধার। কারণ জাঙ্ক ফুড নির্ভর জীবনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা বেশ কষ্টকর। ফলে শুধু ওজনই নয়, জাঙ্ক ফুডের দৌলতে নানারকম অসুখও এসে হাজির হয় আমাদের শরীরে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়ামের প্রয়োজন তো আছেই, সঙ্গে ডায়েটের সামান্য পরিবর্তনও ওজন কমাতে পারে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পাপা পেঁপের মধ্যেই নাকি লুকিয়ে রয়েছে ওজন কমানোর ওষুধ! কী ভাবে?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাকা পেঁপের বীজেই সেই শক্তি রয়েছে। পাকা পেঁপের বীজ খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। বিপাক ক্রিয়ার সাহায্য করে, পেট ফাঁপা রোগ দূর করে এবং খাবার ভাল করে হজম করতে সাহায্য করে। আর সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। এই কারণে পাকা পেঁপের বীজ খেলে ওজন দ্রুত কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পুষ্টিবিদ রেশমি রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, “যে কোনও ফল বা খাবার যা বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়, সেগুলোই ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে পেঁপের বীজে আলাদা করে এমন কোনও পদার্থ রয়েছে বলে জানা নেই। তবে পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, জল আমাদের বিপাকে সাহায্য করে, তাই বলা যেতেই পারে যে অন্যান্য ফলের থেকে পেঁপে কম ক্যালোরি যুক্ত ফল।”
কী ভাবে খাবেন?
পাকা পেঁপে খাওয়ার পর কালো রঙের যে বীজগুলো পাবেন, সেগুলো ওই অবস্থাতেই চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। বা প্রয়োজনে ভাল করে পেস্ট বানিয়ে জলে গুলেও খেতে পারেন।