মাগুরা জেলা হাসপাতালে অপারেশনে ডাক্তারের সহযোগী ঝাড়ুদার !!
মাগুরায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এপ্রোণ পরে সার্জনের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে হাসপাতালের ঝাড়ুদার।অপরিহার্য জনবল সংকটের কারণে প্রায় প্রতিটি অপারেশনেই হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, এমএলএসএস কিংবা পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহযোগিতা নিতে হচ্ছে বলে জানালেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা।
রোববার সকাল ১০টায় হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটারে আনোয়ারা বেগম নামে একজন বৃদ্ধার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সার্জন ডা. শফিউর রহমান। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ অপারেশনে ডা. শফিউর রহমানের সহযোগী হিসেবে অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছেন সুবাসচন্দ্র বিশ্বাস এবং আবু বক্কার।
এমএলএসএস -কাম-ওয়ার্ডবয় হিসেবে ওই দুইজনের নিয়োগ থাকলেও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজের পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটারে সার্জনদের সহযোগী হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত সার্জন ডা. শফিউর রহমান বলেন, অপারেশন চলাকালীন একজন সার্জনের সহযোগিতার জন্য অন্তত দুইজন সহযোগী ডাক্তার থাকা প্রয়োজন। সেখানে সহযোগী ডাক্তারের পরিবর্তে সুইপারদের নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। বিধায় একটি সাধারণ অপারেশনেও অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। আবার সঠিক সেবা দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে অপরিহার্য রয়েছে একজন এনেসথেসিস্ট (অজ্ঞান ডাক্তার)। অথচ হাসপাতালটিতে গত ৬ মাস ধরে এই পদটি শূন্য রয়েছে। বিধায় ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার অরুণ কান্তি ঘোষকে সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
অপরিহার্য বিভিন্ন পদে জনবল সংকটের বিষয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিকাশ কুমার সিকদার বলেন, হাসপাতালটির নামই কেবল ২৫০ শয্যার হাসপাতাল। কিন্তু পুরনো ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী ডাক্তার-কর্মচারী মিলিয়ে ২০৩ জন থাকার কথা। কিন্তু সেখানে মাত্র ১৬৬ জন রয়েছেন। অথচ প্রতিদিন ইনডোর আউটডোর মিলিয়ে প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি রোগী দেখতে হয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক স্বপন কুমার কুণ্ডু বলেন, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও পদায়নের বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট বিভাগে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পদায়ন হলে সমস্যা কেটে যাবে।
সূত্রঃ যুগান্তর