এমন অত্যাচার আমি আর সহ্য করতে পারছি না, সৌদিতে বাংলাদেশি নারীর আর্তনাদ !!
কিছুদিন আগে সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার হয়ে ফেসবুকে জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন পঞ্চগড়ের গৃহকর্মী সুমি আক্তার। তার ওই আকুতির ভিডিও দেশ-বিদেশে ভাইরাল হলে চলতি মাসের ১৫ তারিখ সকালে তিনি সৌদি থেকে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের সহায়তায় দেশে ফেরেন সুমি।
এবার সৌদি আরবে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন হুসনা আক্তার (২৫) নামে আরেক বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের হুসনা আক্তার আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে গত ১৭ দিন আগে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রথমে স্বামী শফিউল্লাকে ভিডিও বার্তাটি পাঠান।
ভিডিও বার্তায় হুসনা আক্তার বলেন, ‘আমি মোছা হুসনা আক্তার। আমার দালালে ভালা কথা কইয়া-কামের কথা কইয়া আমারে পাঠাইছে সৌদি। সৌদি আরবের নিজরাল (নাজরান) এলাকায় আমি কাজ করি। আমি এখানে আইসা দেখি কাজ ভালা না। আমার সাথে ভালা ব্যবহার করে না ওরা। ওরা আমার ওপর অত্যাচার করে।’
হুসনা বলেন, ‘আমি বাক্কা দিন (১০/১২ দিন) হইছে আছি। এখন এরার অত্যাচার আমি সহ্য করতে পারি না দেইক্কা কইছি আমি যাইমু গা। এই কথা বলায় ওরা আরও বেশি অত্যাচার করে। আমি এজেন্সির অফিসে ফোন দিছি। অফিসের এরা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে‘আমি আর পারতাছি না। তোমরা যেভাবে পার আমারে তোমরা বাঁচাও। এরা আমারে বাংলাদেশ পাঠাইতো চায় না। এরা আমারে অনেক অত্যাচার করতাছে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, নির্যাতনের শিকার নারীর নাম ঠিকানা ও সৌদিতে কোন জায়গায় আছেন সেটা জানতে পারলে তখন আমি মন্ত্রণালয়ে কথা বলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।