যে কারনে আদালতে ক্ষমা চাইলেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার !!
এবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার চার মাস পার হলেও আদেশের প্রত্যয়িত অনুলিপি না দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাবের) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করে সারওয়ার আলম বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকব।’
এদিকে আদালতে সারওয়ার আলমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। পরে এ সংক্রান্ত এক রুল নিষ্পত্তি করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলানার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম দিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর সারওয়ার আলমকে তলব করে হাইকোর্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালত এক ব্যক্তিকে সাজা দেওয়ার পর চার মাস পার হলেও আদেশের কপি না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে তাকে তলব করা হয়। সাজা দেওয়ার চার মাস পরও আদেশের কপি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মো. মিজান মিয়া ১৭ নভেম্বর রিটটি করেছিলেন।
তাছাড়া চলতি বছরের ১৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মিজান মিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তপু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পশুখাদ্য প্রস্তুতকরণ কারখানার ব্যবস্থাপক মিজান। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সাখাওয়াত হোসেন খান।