এবার নিজের প্রিয় ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিলেন এন্ড্রু কিশোর !!
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। এর মধ্যেই চিকিৎসা সহায়তার জন্য ৫০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।কিন্তু সেটা মোট খরচের এক চতুর্থাংশ মাত্র। তার চিকিৎসা সম্পন্ন করার জন্য ২ কোটি ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
তাই এবার চিকিৎসার জন্য নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিলেন এন্ড্রু কিশোর। নিজের শহর রাজশাহীতে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন এন্ড্রু কিশোর। যান্ত্রিক ঢাকার কোলাহল ছেড়ে নাড়ির টানে মাঝেমধ্যে সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠতেন তিনি। ফ্ল্যাটটি ছিল তার প্রিয় সম্পদের একটি।
অবশেষে মরণব্যাধী ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে সেই প্রিয় ফ্ল্যাটকেও হাতছাড়া করতে হলো বাংলা গানের এই অপ্রতিদ্বন্দী প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পীকে। ঢাকার তুলনায় রাজশাহী শহরে ফ্ল্যাটের দাম কম হওয়ায় ৩০ লাখ টাকার বেশি টাকা পাচ্ছেন না এন্ড্রু।এন্ড্রু কিশোরের এই ফ্ল্যাট বিক্রির সত্যতা করেছেন তারই এক ঘনিষ্ঠজন।
এদিকে এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছেন চলচ্চিত্রের আলোচিত তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল ও বর্ষা। গতকাল রোববার সংগীতশিল্পী মোমিন বিশ্বাসের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন অনন্ত জলিল।
এছাড়াও এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন ফরিদুর রেজা সাগর, সৈয়দ আব্দুল হাদী, হানিফ সংকেত, সাবিনা ইয়াসমীন, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, জেমস, অনন্ত জলিল, মমতাজ বেগম, মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাদল রায়, দিলারা আলো, কবির বকুল, দিনাত জাহান মুন্নি, চন্দন সিনহা, পলাশ সাজ্জাদ, দিঠি আনোয়ার, জলের গান প্রমুখ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শিল্পীর চিকিৎসায় সহায়তার জন্য ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন।অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই শিল্পীর চিকিৎসা সহায়তায় খোলা হয়েছে ‘গো ফান্ড মি’ নামের ওয়েবসাইটে এটি করা হয়েছে। এই ফান্ডেও সহযোগিতা করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে শিল্পীর স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু জানান, হাসপাতালের চিকিৎসা বোর্ডের কাগজপত্র নিয়ে সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইন ফান্ডিং পেজ ‘গো ফান্ড মি’ চালু করেছেন। এরই মধ্যে এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে।
কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আর সংগঠনও এগিয়ে এসেছে। এই যেমন শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশন, সাউন্ডটেক, অনুপম রেকর্ডিং মিডিয়া, ক্রিশ্চিয়ান হাউজিং সোসাইটি।
উল্লেখ্য, ক্যান্সারে আক্রান্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরকে কেমোথেরাপি দেয়া শুরু হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে সেখানে থাকতে হবে। ২৬ নভেম্বর থেকে কেমোথেরাপির পরবর্তী সাইকেল শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি কেমোর জন্য লাগছে ৯ লাখ টাকা।
অসুস্থ অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে।