কমছে পেয়াঁজের দাম, জেনে নিন সর্বশেষ বাজার দর কত ??
দীর্ঘদিন পেঁয়াজ সংকটে থাকা বাংলাদেশের জন্য হয়তো সুখবর আসতে চলেছে। পেঁয়াজের বাজারদরে আসছে লাগাম। বিদেশ থেকে টনে টনে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসার পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদনের কিছু কিছু পেঁয়াজও বাজারে উঠতে শুরু করেছে। অপরদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে টিসিবির মাধ্যমে সীমিতমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি চলছে প্রায় সবখানেই। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ব্যক্তি মালিকানার আমদানির পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে বিক্রি কার্যক্রমও চলছে। ফলে বাজারমূল্য এখন আর বাড়ছে না।
প্রতিদিন কেজিতে ন্যূনতম গড়ে ১০ টাকা হারে কমছে পেঁয়াজের দর। চট্টগ্রাম ও ঢাকার বাজারে চীনা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০, মিসরের পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজার সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজ আমদানিকারকদের পক্ষে অনেকে আমদানি বন্ধ রাখায় বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতিতে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। মূলত এরফলে পেঁয়াজের বাজারমূল্য দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে না। একদিকে মূল্য হ্রাস পাওয়ার ভীতি, অপরদিকে আড়তে আড়তে প্রশাসনিক অভিযানের কারণে পচনশীল এ পণ্যের আমদানি থেকে অনেকে হাত গুটিয়ে রেখেছে। এছাড়া দেশের কয়েকটি বড় শিল্পগ্রুপ হাজার হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে এমন সংবাদে ছোট আমদানিকারকরা লোকসানের ভয়ে পেঁয়াজ আমদানি করেনি। এতে করে বাজার অস্থিতিশীল পর্যায়ে থেকে যায়।
তবে অস্থিতিশীল অবস্থা কাটিয়ে শীর্ষ পেঁয়াজ আমদানিকারকদের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ বাণিজ্যের কোন তথ্য যেমন মেলেনি, তেমনি মেলেনি মজুদদার বা আড়তদারদের অপকর্মের বিষয়টি। এতে করে ব্যবসায়ীরা সে বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ অবস্থায় বর্তমানে অনেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নেমেছেন, যা ক্রমান্বয়ে বন্দরে এসে পৌঁছেছে। অপরদিকে, মিয়ানমারে পেঁয়াজের মজুদ হ্রাস পাওয়ায় আমদানি হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে চট্টগ্রামে পেঁয়াজ এসেছে মাত্র ২০ ট্রাক (প্রতি ট্রাকে ১৪ টন)। বর্তমানে দেশের বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজের মূল্যই সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। চীনা পেঁয়াজ রসালো এবং মিষ্টিজাতীয় হওয়াতে এর চাহিদা সীমিত। এরপরে মিসরের পেঁয়াজ তুলনামূলকভাবে চাহিদা রয়েছে।