মালয়েশিয়ায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন !!
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়াস্থ হোটেল রেনেসার হলরুমে প্রতিরক্ষা শাখা, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া আমর্ড ফোর্সেসের ডিএআইএসডি মহাপরিচালক লেঃ জেনারেল দাতুক শেখ মোকসিন বিন শেখ হাসান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, প্রতিরক্ষা এটাচে, মালয়েশিয়া সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সুশীল সমাজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির ব্যক্তিরাসহ প্রায় ১৮০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
কমান্ডার নাহিদ শারমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশনা করা হয়। এরপর দেশটিতে নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মোস্তাক আহমেদ, (জি), এনপিপি, পিএসসি, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি মুক্তিকামী মানুষ যখন সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাদের সাথে সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যরাও যোগ দেন।
পরবর্তীতে ২১ নভেম্বর ১৯৭১ সালে প্রথম বারের মতো সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী একযোগে দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে সুসংগঠিত আক্রমণ করেন; যার ফলশ্রুতিতে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ, যা জাতির পিতার স্বপ্নের আলোকে অগ্রসরমান।
প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মালয়েশিয়া সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সম্পর্ক উন্নয়নে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং এ সম্পর্ক আরও সুগভীর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পাশাপাশি তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যৌথ অনুশীলন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণে দুই দেশের সৌহার্দ্য ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাথে কাজ করতে বাংলাদেশ আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের প্রতিটি অঙ্গনে এই উন্নয়নের জোয়ার বহমান। ভবিষ্যতেও উন্নয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে গর্বে মাথা তুলে দাঁড়াবে বলে তিনি বলে তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন। নৈজভোজ চলাকালীন ‘উদীয়মান বাংলাদেশ এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন’, ‘সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ অনুশীলন’ এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।