খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রোববার সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ !!
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রোববার সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেহেতু শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ তাই রোববার সারা দেশে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করবে।
বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়। মূলত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর করণীয় কী, সেটা ঠিক করতেই এ বৈঠক বসেছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া বৈঠকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনও উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে দলটির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার জামিন খারিজের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান দলের মহাসচিব।
এর আগে এদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়।
সকাল ১০টা ৮ মিনিটে আপিল বিভাগে এ শুনানি শুরু হয়। পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ বিচারকের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্বসম্মত এই সিদ্ধান্ত দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নিতাই রায় চৌধুরী, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।
এরপরই দুপুরে আদালতের আদেশের পরপরই বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। অবশ্য পুলিশের ধাওয়ায় মিছিল বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এ সময় বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া বাংলামটর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সূত্রঃ যুগান্তর