এতটা নার্ভাস এর আগে কখনো হইনি: মিথিলা !!
মিথিলা-সৃজিতের বিয়েটা কিছুটা সাদামাটা হলেও মধুচন্দ্রিমা হচ্ছে বেশ আমুদে। নতুন দম্পতি সুইজারল্যান্ডের নির্মল প্রকৃতির সুধা পান করছেন পরম তৃপ্তি নিয়ে। একই সঙ্গে দুজন দুজনকে নতুনভাবে খুঁজে নিচ্ছেন।
এই আনন্দের মধ্যেও কিছুটা নার্ভাস মিথিলা। তার কারণ সুইজারল্যান্ডে মধুচন্দ্রিমার পাশাপাশি নতুন করে অধ্যয়ন শুরু করছেন মিথিলা। আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন– সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছেন রথ দেখতে, সেই সঙ্গে কলা বেচতে। অর্থাৎ মধুচন্দ্রিমার পাশাপাশি সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি।
সৃজিত মিথিলা সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন গত শনিবার। এরই মধ্যে মিথিলা পা রেখেছেন তার নতুন ক্যাম্পাসে। সেখানকার ইউনিভার্সিটি অব জেনেভাতে পৌঁছে বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন এ সুদর্শনী।
মঙ্গলবার রাতে পোস্ট করা ছবিগুলোতে মিথিলাকে বেশ প্রাণবন্ত দেখা গেলেও নতুন ক্যাম্পাস নিয়ে যে খানিকটা চিন্তিত মিথিলা, তা বোঝা গেল তার দেয়া ক্যাপশনে।
ছবির ক্যাপশনে মিথিলা লেখেন– ‘জীবনের আরেকটি নতুন অধ্যায়ে পদার্পণ করলাম। ইউনিভার্সিটি অব জেনেভাতে পিএইচডি শুরু করলাম। এর আগে কখনও এতটা নার্ভাস হইনি। এই অধ্যায় সফলভাবে সম্পন্ন করতে বন্ধু এবং পরিবারের সবার দোয়া ও আশীর্বাদ প্রয়োজন।’
তবে মিথিলা কিছুটা নার্ভাস হলেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন স্বামী সৃজিত। মিথিলার পাশে বেশ দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন কলকাতার এই নামিদামি নির্মাতা। সৃজিত মিথিলার সম্পর্কের শুরুটা বন্ধুত্ব দিয়ে। ধীরে ধীরে প্রেমের পথে পা বাড়ান দুজনে।
যদিও বিয়ের আগে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেননি দুজনের কেউ-ই। বেশ কয়েক মাস ধরেই তাদের বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। গত শুক্রবার সেই গুঞ্জন সত্যি হয়েছে।
সৃজিত মিথিলার সম্পর্কের শুরুটা বন্ধুত্ব দিয়ে। ধীরে ধীরে প্রেমের পথে পা বাড়ান দুজনে। যদিও বিয়ের আগে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেননি দুজনের কেউ-ই। বেশ কয়েক মাস ধরেই তাদের বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
৬ ডিসেম্বর সেই গুঞ্জন সত্যি পরিণত হলো। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে নিকটাত্মীয়, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে সৃজিতকে জীবনসঙ্গী করে নেন মিথিলা। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মিথিলা এসেছিলেন লাল শাড়ি পরে বাংলার চিরায়ত বধূ সাজে। সৃজিতকে দেখা গেছে কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল জহরকোর্ট পরিহিত অবস্থায়। অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়েছিল মিথিলার মেয়ে আইরাও।