ইত্যাদির প্রতিবেদন নিয়ে সমালোচনা, এবার মুখ খুললেন হানিফ সংকেত !!
তর্ক ছাড়াই বাংলাদেশের সবচেয়ে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান বোধহয় ইত্যাদি। অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা করে থাকেন হানিফ সংকেত নিজেই। সম্প্রতি ইত্যাদিতে প্রচারিত এক বিদেশী ডাক্তার দম্পতিকে নিয়ে প্রতিবেদনে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে ফেসবুকে। দীর্ঘদিন এ নিয়ে মুখ না খুললেও এবার মুখ খুলেছেন হানিফ সংকেত। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ নিয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্যে স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।
হানিফ সংকেত লিখেছেন, সুহৃদ, গত ২৯ নভেম্বর প্রচারিত ইত্যাদিতে আমেরিকার ডাক্তার দম্পতি জেসন-মেরিন্ডিকে নিয়ে আমরা একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছিলাম। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদনটি যেমন ইউটিউব এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি সর্বমহলে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলও এই ডাক্তার দম্পতির মানবিক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন এবং ইউটিউবে অনেকেই প্রশংসাসূচক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। পাশাপাশি ২/১ জন আবার প্রতিবেদনটির কিছু তথ্য বিভ্রান্তি আছে জানিয়ে পাল্টা ভিডিও নির্মাণ করেছেন এবং কেউ কেউ ভুল বুঝে বিষয়টির ভিন্নতর ব্যাখ্যাও করেছেন। আবার দর্শকদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ভুল বুঝতে পেরে ভুল তথ্য সম্বলিত ভিডিওর নির্মাতা তার ভিডিওটি ডিলিট করে নুতন ভিডিও আপলোড করে দুঃখ প্রকাশও করেছেন।
আসলে ইত্যাদিতে কখনোই কারো বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কিছু করা হয় না বা বলা হয় না। আমরা কাজ করি একটি দায়বোধের জায়গা থেকে। সমাজের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে ইত্যাদি যেমন নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে, তেমনি আমাদের নাগরিক সচেতনতা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখছে আন্তরিকতার সঙ্গে।
আমাদের চিন্তা থাকে কিভাবে দর্শক হৃদয়ে স্থান পাওয়া যায়। তাই অনুষ্ঠান নির্মাণে আমাদের আন্তরিকতা, সততা থাকে শত ভাগ। সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবীয় অঙ্গীকার ও মূল্যবোধের চেতনা থেকেই ইত্যাদিতে বিভিন্ন বিষয় ও আঙ্গিকে প্রতিবেদন প্রচার হয়ে আসছে নিয়মিত এবং সমাজে তার একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ইত্যাদিতে কারো অবমূল্যায়ন করা হয় না। ইত্যাদিকে বলা হয় সকল শ্রেণী, পেশা ও সব বয়সী মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতিই রয়েছে আমাদের সমান শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান। আর একটি কথা, এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের মূল শ্লোগান ছিলো, ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’। সুতরাং কারো সম্পর্কে কিছু বলার বা লেখার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করে লেখাটাই সৎ মানুষের কাজ। সুতরাং আসুন আমরা প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করি-অপব্যবহার নয়।