এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস !!
হিমালয়ঘেঁষা দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারাদেশের মধ্যে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
এ দিকে গত মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ছিল ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং যা আজ কমে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তবে এ জেলায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা আর কমছে তাপমাত্রাও।
দিনের বেলা রোদ খেলা করলেও সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় কুয়াশা। রাতের বেলা কুয়াশায় ঢেকে যায় সবকিছু। ভোর থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কুয়াশা ঘিরে রাখে কয়েক ঘণ্টা। এই সময়ে গ্রামগঞ্জের মানুষ খরের পোড় (ধানের খরের ছোট ঢিবিকে আঞ্চলিক ভাষায় পোড় বলা হয়) জ্বালিয়ে আগুন পোহায়।
শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ। পর্যাপ্ত গরম কাপড় ছাড়া পঞ্চগড়ে শীত কাটানো সম্ভব নয়। তাই গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়লেও দরিদ্র মানুষের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তরের এ জেলায় তাপমাত্রা যেখানে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছিল এবং যা আজকে তা কমে একবারে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এসে পৌঁছায়।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের মধ্যে আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এই তীব্র শীতে জেলার এমন দুই লাখ মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ২৮ হাজার কম্বল। তাই কম্বল বিতরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। তবে আরও কম্বলের চাহিদা পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন।