সোলাইমানির শোক মিছিলে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৫০ !!
মার্কিন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শোক মিছিলে পদদলিত হয়ে তার নিজশহর কেরমানে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার তাকে দাফনে নেয়ার সময় এমন ঘনটা ঘটে। এতে তার দাফনে বিরতি দেয়া হয়। খবর রয়টার্সের।
এদিকে এএফপি জানিয়েছে, জেনারেল কাসেমির শোক মিছিলে কেরমানে পদদলিত হয়ে ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছন। এছাড়া ২১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, তার দাফনানুষ্ঠানে লাখ লাখ শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছে।
ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে, শোকার্ত লোকজন অবসন্ন হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছেন। অন্যরা তাদের বুকে ঘষামাজা করছেন। মাটিতে পড়ে থাকা কারো কারো মুখ জ্যাকেট ও কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখা গেছে।
এর আগে শুক্রবার ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়ে ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান ও বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরানের মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল মুহানদিসকে হত্যা করা হয়।
শোকমিছিলের পদদলিত হয়ে এই হতাহতের আগে বিপ্লবী গার্ডসের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসাইন সালামি বলেন, শহীদ সোলাইমানি ছিলেন খুব ক্ষমতাবান। এখন তিনি মৃত। শত্রুরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সোলাইমানির নিজ শহরে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষকে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। এছাড়া তেহরান, কুয়াম, মাশহাদ ও আহভাজ শহরেও মানুষের ঢল নেমেছে।
এর আগে সোমাবার তার জানাজা উপলক্ষে রাজধানী তেহরানের সড়কগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ভোরে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।
রোববার সোলেমানির মৃতদেহ ইরাক থেকে ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ইরানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের জুমার নামাজ চত্বরে তার জানাজা হয়।ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এখানে সোলেমানিসহ তার সঙ্গে নিহত সবার জানাজা হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানাজায় ইমামতি করেন, এর এক পর্যায়ে তাকে কাঁদতে দেখা গেছে।জানাজায় যোগ দিতে তেহরানে ব্যাপক লোক সমাগম হয়েছিল। তাদের অনেককেই কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ নিহত কমান্ডারের ছবি নিয়ে জানাজায় যোগ দিতে এসেছিলেন।
গত শতকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় থেকে যুদ্ধের ময়দানে থাকা সোলাইমানিকে জাতীয় বীর হিসেবে দেখে ইরানিরা। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পর তিনিই ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাবান লোক ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।