একই স্থানে আরো যা করেছে মজনু !!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধ’র্ষণকারী গ্রেফতার মজনু কুর্মিটোলায় একই স্থানে আরও অনেক নারী ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারের পর আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে দেয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এই তথ্য দিয়েছে মজনু। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে কাওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেললনে এ তথ্য জানায় র্যাব।
কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধ’র্ষণের আগেও মজনু বেশ কয়েকজনকে ধ’র্ষণ করেছে জানান র্যাবের মুখপাত্র সারওয়ার বিন কাশেম। তিনি বলেন, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। এর আগেও তিনি এই কাজ করেছেন। রাস্তায় প্রতিবন্ধী নারী, ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করত মজনু। স্বীকারোক্তিতে মজনু আরও জানায়, একই জায়গায় সে এ ধরনের অপরাধ করেছে। প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুকসহ বিভিন্ন নারীদের সে আটকে রেখে ধ’র্ষণ করতো। তাদের হত্যার হুমকিও দিত। মজনু স্বীকার করেছে ঘটনার সময় সে একাই ছিল, ভুক্তভোগীও একই কথা জানিয়েছে।
সারওয়ার বিন কাশেম জানান, ঘটনার দিন কুর্মিটোলা হাসপাতাল নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার পর মেয়েটিকে দেখতে পায় মজনু। এরপরই সে আলোচিত হয়। পরে মেয়েটিকে অনুসরণ করে তার পিছু পিছু যায়’। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষক সন্দেহে মজনুকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী থেকে আটক করে র্যাব। পরে ধ’র্ষণের শিকার ছাত্রীর জবানবন্দি মোতাবেক তাদের ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এরপরই তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। নিয়ে আসা হয় র্যাব মিডিয়া সেন্টারে। মজনু একজন সিরিয়ার রেপিস্ট বলেও জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় বান্ধবীর বাসায় শেওড়ায় যেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা হন। সন্ধ্যায় বাস থেকে ভুল করে কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকায় নেমে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে হেটে শেওড়া যাওয়ার পথে তাকে ফলো করেন ধর্ষক। তাকে সড়ক থেকে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধ’র্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। তিন ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে পেলে বন্ধুদের সহায়তায় হাসপাতালে যান ওই ছাত্রী। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে ফরেনসিক পরীক্ষায় তার ধর্ষ’ণের আলামত মিলেছে। এ ঘটনায় পরদিন শাহবাগ ও ক্যান্টনমেন্ট থানায় দুটি মামলা হয়।