মুসলমানরা গুটিকয়েক হারামের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন: আজহারী !!
পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে হালাল-হারামের গুরুত্ব তুলে ধরে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, পৃথিবীতে হারামের চেয়ে হালালের পরিমাণ অনেক বেশি। মাত্র গুটিকয়েক হারামের কারণে মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।বুধবার বিকাল ৩টায় পীরগঞ্জের ‘আলতাবনগর’ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে আলতাবনগর কবরস্থানের মাঠে তৃতীয় তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ সব কথা বলেন।
মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, সব ক্ষেত্রেই আল্লাহর রাজত্ব আর নিয়ন্ত্রণ। সেখানে কারো খবরদারী চলে না। কিন্তু আমরা তা ভুলে যেতে বসেছি।তিনি বলেন, সন্তানরা ভালোবাসার মাধ্যমে যে পাপ করে, সেই পাপের পার্সেন্টেজও বাবা-মার আমলনামায় যোগ হয়। সুতরাং তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে হবে।
মাহফিলে আ. গফুর মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাহবুব রহমান, চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন, আলতাবনগরের প্রতিষ্ঠাতা দুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন, সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ও সেরাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদ মিয়াসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মিজানুর রহমান আজহারী বুধবার দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে পীরগঞ্জের চতরায় অবতরণ করে প্রায় ১ ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি সড়কপথে গাইবান্ধার নলডাঙ্গায় ওয়াজ করার জন্য রওনা দেন।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহফিলের আগের দিন থেকেই দূর-দূরান্তের আত্মীয়-স্বজন চতরাহাট এলাকার আশপাশে এসে অবস্থান নেয়। এ ছাড়াও আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে নারী-পুরুষের সমাবেশ ঘটে।চতরাহাটের ৫টি বিশাল মাঠে ৫টি প্রোজেক্টরের মাধ্যমে ওয়াজ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। ওই হাটের চারপাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে শত শত যানবাহন পার্কিং করে রাখা হয়।
মাহফিল শেষে যানবাহন না পেয়ে মানুষজন প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে পায়ে হেঁটে আসেন।উল্লেখ্য, দুবাই প্রবাসী আলতাব হোসেন চতরাহাটের পাশে প্রায় ৬ একর জমির ওপর কবরস্থান, মসজিদ এবং এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেখানে প্রতিবছরই মাহফিল করা হচ্ছে।