ইসলামী সাজসজ্জায় বদলে গেল বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের চিত্র !!
রাজধানীর সন্নিকটে তুরাগ নদীর পাশে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে টঙ্গীর গুরুত্বপূর্ণ কামার পাড়া সড়ক। দুই কিলোমিটার সড়কের ডিভাইডারে লাগানো হয়েছে ফুল বাগান, এলইডি ও রঙিন বাতি এবং সৌন্দর্যবর্ধন ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি। এতে সন্ধ্যার পর রঙিন আলোর ছটায় বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে সড়ক ও ইজতেমা প্রাঙ্গণের সৌন্দর্য। এতে বদলে গেছে ইজতেমা ময়দানের চিত্র।
ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের প্রতিটি রাস্তা-অলিগলি সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে। প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে কোরআন-হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ বাণী দিয়ে তৈরি গেইট। ইজতেমা মাঠের সৌন্দর্য, ধর্মীয় আবহ ও মুসল্লীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এসব কাজ বাস্তবায়ন করেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন।
এ ব্যাপারে মুসল্লীরা জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় দেশি এবং বিদেশি এই দুই ধরনের মুসল্লী অংশগ্রহণ করে। দুই ধরনের মুসল্লির অবস্থানের জন্য বানানো নয় আলাদা আলাদা খিত্তা। দেশীয় মুসল্লঅরা চট দিয়ে তৈরি বিশাল খিত্তায় এবং বিদেশিদের জন্য টিনের বেড়া দিয়ে আলাদা খিত্তা তৈরি করা হয়।
এদিকে বিদেশি মুসল্লীদের থাকার স্থানকে তাবলীগের ভাষায় বলা হয় ‘বিদেশি মেহমান খানা’। বিদেশি মেহমান খানা এবং দেশীয় মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠে প্রবেশর মূল পথ কামার পাড়া সড়ক দিয়েই। তাই গুরুত্ব বিবেচনা করে কামার পাড়া সড়কের পাশে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম, সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও র্যাবের কন্টোল রুমসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কন্টোল রুম স্থাপন করা হয়।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে অতীতে ছিল না বাতি সড়ক বাতি। ছিল ঘিঞ্জি পরিবেশ। কিন্তু এবার চিত্র বদলে গেছে। সড়কটি এবং ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের রাস্তা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর জ্বলে উঠছে এলইডি বাতিসহ খুটি খুটিতে লাগানো বিভিন্ন রঙিন বাতি। সড়কের ডিভাইডারে করা হয়েছে ফুল বাগান। এসব কাজে মুসল্লিরা খুবই উৎফুল্ল।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পবিত্র হজ্বের পর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম জমায়েত। এবার নিয়ে ৫৫ বছর ধরে এখানে ইজতেমা হয়ে আসছে। এখানে দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা অংশ নেন, ইবাদাত-বন্দেগী করেন। ধর্মী কাজের জন্য ধরমীয় পরিবেশ ও সৌন্দর্য অপরিহার্য। এতে মন ভালো থাকে।
তাছাড়া কামারপাড়া সড়ক দিয়ে বিদেশি মেহমানদের কাছে আমাদের দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা জন্মাবে এ চিন্তা থেকেই তিনি সড়কটির সৌন্দর্য বর্ধন করেছেন। খুঁটিতে তার মাটির নীচ দিয়ে লাগিয়েছেন। তাছাড়া মুসল্লিদের থাকার ব্যস্থা বিদ্যুৎ, পানি, সেনিট্রেশনসহ সব বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।